ঢাকা : ‘বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এদেশে শারদীয় দুর্গা উৎসব সনাতন ধর্মাম্বলীদের একার উৎসব আমি বিশ্বাস করি না। এটা জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সবার উৎসব। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতি-ধর্ম-বর্ণ-গোষ্ঠী নির্বিশেষে সবার উন্নয়নে কাজ করেছেন। আর তাই বাংলাদেশ এখন ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের নিরাপদ আবাসভূমি। এখানে সকল ধর্মের মানুষ শান্তিতে সমভাবে উন্নয়নের সুফল উপভোগ করে বসবাস করছে’ বলেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ মুরাদ হাসান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর সকলেরই অগাধ আস্থা রয়েছে বিধায় করোনাকালে দেশে ৩২ হাজার ১৮০টি পূজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গা উৎসব পালন করছে।
শৈশবের স্মৃতি উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ছাত্র জীবনে আমরাও শারদীয় দুর্গা উৎসবে সনাতন ধর্মাবলম্বী বন্ধুদের বাড়িতে যেতাম, নানা ধরনের খাবার খেতাম, আমাদের মা বাবা তো কখনই এ ব্যাপারে কোনো কথা বলেনি বরং আমাদের উৎসবে সেই বন্ধুদের দাওয়াত করার জন্য মা বাবা নির্দেশ দিত। সকল ধর্মের লোকজনই সকল ধর্মের প্রতি তাদের শ্রদ্ধাবোধ প্রদর্শন করছে, এটা আমাদের পূর্ব পুরুষদের শিক্ষা।
১৩ অক্টোবর প্রতিমন্ত্রী সচিবালয়ে তাঁর অফিসকক্ষে শারদীয়া দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।
বিএনপি জামাত ক্ষমতায় এসেই দেশে ধর্মী বিভেদ সৃষ্টি পূজা উৎসবে বিশৃঙ্খলা করার সংস্কৃতি চালু করেছিল। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা হয় শরৎকালে। তাই এর নাম শারদীয় দুর্গোৎসব। হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব এর হাতে দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ৩ কোটি টাকার আর্থিক অনুদান দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়াও তিনি প্রতিটি পূজামণ্ডপে পাঁচশ’ কেজি চাল দিয়েছেন। প্রতিমন্ত্রী তার নির্বাচনি এলাকার পূজামণ্ডপে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা করে অনুদান প্রদান করেছেন। আমাদের সকলকে একে অপরের সহযোগিতায় এগিয়ে আসতে হবে। সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শারদীয় দুর্গোৎসব উদ্যাপনের অনুরোধ জানান ডা. মুরাদ হাসান।
বিকেলে প্রেস কাউন্সিলের নবযোগদানকৃত চেয়ারম্যান সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মোঃ নিজামুল হক প্রতিমন্ত্রীর সাথে তাঁর অফিসকক্ষে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে আসেন।
এর পরে প্রতিমন্ত্রী ঠাটারী বাজার শিব মন্দির পূজামণ্ডপে পরিদর্শন ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন।