বিএনএ, ঢাকা : সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টম্বর) দুপুর পর্যন্ত চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা, ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণ হতে পারে। পরবর্তী দু’দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবনতা কমতে পারে।
এমন পূর্ভাবাস জানিয়ে আবহাওয়া অফিস বলছে, বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমতে পারে। সেইসাথে রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরণের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় ঢাকায় সর্বোচ্চ ৮২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও চট্টগ্রাম ও বদলাগাছী ৬২, হাতিয়া ও টেকনাফে ৫৫, সীতাকুন্ডে ৫৪, কক্সবাজার ৫২, সৈয়পুর ৫১, দিনাজপুর ৪৭, কুতুবদিয়ায় ৪৬ এবং ময়মনসিংহে ৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
মধ্যপ্রদেশের মধ্যাঞ্চল ও এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি বর্তমানে উত্তর-পশ্চিম মধ্যপ্রদেশ ও এর আশপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। এটি ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে যেতে পারে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি এলাকায় গভীর সঞ্চারনশীল মেঘমালার সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। মৌসুমী বায়ুর অক্ষ
রাজস্থান, সুস্পষ্ট লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বাড়তি অংশ উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র প্রবল অবস্থায় রয়েছে।
সমুদ্র বন্দরসমূহ, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে আজও ৩ (তিন) নম্বর পুন) তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেইসাথে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
বিএনএনিউজ/এইচ.এম।