বিএনএ, সাভার: ৯ বছর পর ঢাকার ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন শেষে এম এ মালেককে সভাপতি ও গোলাম কবিরকে সাধারণ সম্পাদক করে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
আওয়ামী লীগের ঢাকা জেলার সভাপতি বেনজির আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সবার মতামতের ভিত্তিতে ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
দলের কয়েকজন নেতা জানান, গত ২৭ আগষ্ট আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। এর পর থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের দুটি পক্ষ কাঙ্ক্ষিত পদ পেতে তৎপর হয়ে ওঠে। ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ঢাকা-২০ আসনের সংসদ সদস্য বেনজির আহমেদ ও একই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ মালেক দুটি পক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন। বুধবার সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে এম এ মালেককে সভাপতি ও বেনজির আহমেদের অনুসারী গোলাম কবির মোল্লাকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বেলা ১১টায় ধামরাই হার্ডিঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের মাঠে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ঢাকা-২০ আসনের সংসদ সদস্য বেনজির আহমেদ। প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শেষে বিকেলে কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর বেনজির আহমেদ সভাপতিত্ব গ্রহণ করেন।
পরে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদ্য বিদায়ী সভাপতি এম এ মালেককে পুনরায় সভাপতি হিসেবে ঘোষণা করেন।
এছাড়া সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র গোলাম কবির মোল্লা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদ্য বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সাকু, উপজেলা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খালেদ মাসুদ খান লাল্টু ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিরাজ উদ্দিন সিরাজের নাম আসে।
এরপর তাদের মধ্যে সমঝোতার জন্য কিছুটা সময় দেওয়া হয়। তবে তারা সমঝোতায় ব্যর্থ হওয়ায় কেন্দ্রের শীর্ষ নেতারা আলোচনা করে গোলাম কবির মোল্লাকে সাধারণ সম্পাদক, সাখাওয়াত হোসেন সাকুকে সহ-সভাপতি ও খালেদ মাসুদ খান লাল্টুকে ১নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা দেন।
এছাড়া অন্যজনকে জেলা কমিটিতে পদ দেওয়ার ঘোষণা দেন। এরপরেই সম্মেলনের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
এর আগে, ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে এম এ মালেককে সভাপতি ও সাখাওয়াত হোসেন সাকু সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ওই সময় সংসদ সদস্য ছিলেন বেনজির আহমেদ। পরের বছর দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঋণ খেলাপি হওয়ায় প্রার্থীতা থেকে বাদ পড়েন তিনি। ওই সময় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ মালেক। এরপর থেকেই দুই শীর্ষ নেতার মধ্যে বিরোধিতা শুরু হয়। এমনকি একজন আরেকজনের মুখ দেখাদেখিও বন্ধ করে দেন। এরপর কয়েকবার কমিটি গঠনের চেষ্টা হলেও তা ভেস্তে যায়। অবশেষে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপে নতুন কমিটি ঘোষণা হল।
বিএনএ/ইমরান, এমএফ