25 C
আবহাওয়া
১২:০৯ পূর্বাহ্ণ - নভেম্বর ৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » দেশের প্রথম সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল উদ্বোধন আজ

দেশের প্রথম সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল উদ্বোধন আজ

সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল

বিএনএ ডেস্ক: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বাংলাদেশের প্রথম সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল উদ্বোধন আজ। উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এই হাসপাতালের উদ্বোধন করবেন তিনি। বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ জানান, দক্ষিণ কোরিয়ার সহযোগিতায় নির্মিত ৭৫০ শয্যা বিশিষ্ট এই হাসপাতালে থাকবে আন্তর্জাতিক মানের ১৪টি মডিউলার অপারেশন থিয়েটার। অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধাসহ ১০০টি আইসিইউ ও ১০০টি ইমার্জেন্সি বেড।

৭৫০ শয্যার এই সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভিভিআইপি কেবিন থাকবে ৬টি। ভিআইপি ২২টি এবং ডিলাক্স কেবিন থাকবে ৩০টি। প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে নরমাল শয্যা থাকবে মাত্র ৮টি। থাকছে ১২টি অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার, যেখানে বিভিন্ন অঙ্গ প্রতিস্থাপনসহ উন্নতমানের সার্জারি করা হবে।

হাসপাতালের কেবিনের প্রতিদিনের ভাড়া ধরা হয়েছে অন্তত ৬ হাজার টাকা। আর ওয়ার্ডের কোনটিতেই ২ হাজার টাকার নিচে সিট পাওয়া যাবে না।

দেশের প্রথম বিশ্বমানের সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল
দেশের প্রথম বিশ্বমানের সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, এই হাসপাতালের অর্থায়ন করছে কোরিয়ান কোম্পানি। বিশাল এ প্রকল্প বাস্তবায়নে খরচ ধরা হয়েছিল ১৩শ’ কোটি টাকা। যার মধ্যে কোরিয়া সরকার দিয়েছে ১ হাজার কোটি টাকা। আর বাংলাদেশ সরকারের খরচ হয়েছে ৩শ’ কোটি টাকা। সেন্টার বেইজড এই হাসপাতালটির সব যন্ত্রপাতি সরবরাহ করছে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কোম্পানি স্যামসাং।

হাসপাতালে প্রধানত ৫টি সেন্টারের মধ্যে আছে, কার্ডিওভাস্কুলার সেন্টার, মাদার এ্যান্ড চাইল্ড সেন্টার, কিডনি, হেপাটোবিলিয়ারি ও গ্যাস্ট্রোএন্ট্রোলজি এবং এক্সিডেন্টাল ইমার্জেন্সি সেন্টার।

হাসপাতালে থাকবে ১০০টি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র বা আইসিইউ। এই ১০০টি আইসিইউকে বিভক্ত করা হবে ৫টি ভাগে। এর মধ্যে প্রথম ভাগটিকে বলা হচ্ছে পেডিয়াট্রিক আইসিইউ, দ্বিতীয়টি নিউনাটাল আইসিইউ, তৃতীয়টি মেডিক্যাল আইসিইউ, চতুর্থটি সার্জিক্যাল এবং পঞ্চমটিকে বলা হচ্ছে কার্ডিয়াক আইসিইউ। এই কার্ডিয়াক আইসিইউতে সার্জারি ছাড়াও যে কোন রোগী শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে সেবা পাবেন।

হাসপাতালের ভেতরেই থাকছে ব্যাংকিং সুবিধা, ফার্মেসি এবং চারটি ক্যাফেটেরিয়া। থাকছে ১৬টি এলিভেটর ও একটি এস্কেলেটর, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থাপনা, হিটিং, ভেন্টিলেশন ও এয়ারকন্ডিশনিং সিস্টেম। সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল রুম থেকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তর পাশে ৩ দশমিক ৮ একর জমির ওপর এই সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল। প্রকল্পের মেয়াদকাল চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এরই মধ্যে এর শতভাগ কাজ শেষ। তবে এখনও প্রায় ৫০ শতাংশ যন্ত্রপাতি স্থাপন করা সম্ভব হয়নি।  কোরিয়ান কোম্পানি হুন্দাই কর্পোরেশনের পরিচালনায় এখানে কাজ করেছেন কোরিয়ান শ্রমিকদের পাশাপাশি বাংলাদেশী শ্রমিকরাও।

প্রকল্পটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. জুলফিকার রহমান খান। এই হাসপাতালে পাঁচটি ভিন্ন সেন্টারের মাধ্যমে দেয়া হবে সব ধরনের স্বাস্থ্যসেবা। হাসপাতালে সেবা ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে ইতোমধ্যে ৪৩ জনকে কোরিয়ায় প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। আরও ১৪০ জনকে চলতি বছরেই প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। তিনি জানান, অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস, সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের আদলে এই হাসপাতাল গড়ে তোলা হবে।

বিশাল এই প্রকল্পের উদ্যোগ নেয়া হয় ২০১২ সালে। ২০১৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ১ হাজার ৩৬৬ কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পের অনুমোদন মিলে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (একনেক) নির্বাহী কমিটিতে। ২০১৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী এ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন। এ হাসপাতাল নির্মাণে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার থেকে ১ হাজার ৪৭ কোটি টাকা ঋণ সহযোগিতা পাওয়া গেছে। হাসপাতালটির নক্সা করেছে সানজিন ইঞ্জিনিয়ারিং কোরিয়া।

বিএনএ/এ আর

Loading


শিরোনাম বিএনএ