24 C
আবহাওয়া
৮:১৩ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ২৩, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » কাবুলের গুয়ান্তানামো কমপ্লেক্সে বন্দীরা যখন কারারক্ষী

কাবুলের গুয়ান্তানামো কমপ্লেক্সে বন্দীরা যখন কারারক্ষী


বিএনএ,বিশ্ব ডেস্ক : আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের উপকন্ঠের উচ্চ নিরাপত্তা সম্পন্ন কারাগার’পুল ই চরখি’ যাকে সংক্ষেপে মার্কিন বাহিনী গুয়ান্তানামো কমপ্লেক্স হিসেবে আখ্যায়িত করতো। যেখানে আড়াইহাজারের বেশি তালেবান যোদ্ধাকে গাদাগাদি করে বন্দী রাখা হয়েছিল।
তালেবানরা গত ১৫ আগস্ট কাবুল দখল করে নেয়ার পর কারাগারের ফটক খুলে সব বন্দীদের ছেড়ে দেয়। এখন তালেবান যোদ্ধারাই এই কারাগারের পাহারাদার।

প্যারিস ভিত্তিক অনলাইন মিডিয়া ইউরোনিউজের আফগানিস্তানের প্রতিনিধি এনিলিস বর্গস। তালেবানরা আফগানিস্তান দখল করার পর এবং মার্কিন সৈন্যরা দেশটি ছেড়ে গেলে এই মহিলা সাংবাদিকও রীতিমত বোরকা পরিধান করে কাবুলে সাংবাদিকতা করছেন। তিনি ও তার দলকে তালেবানরা গুয়ান্তানামো কমপ্লেক্স পরিদর্শন করার আমন্ত্রণ জানিয়েছিল।

এনিলিস বর্গস ও তার দল দেখতে পায় কারাগারে আগে যে সব তালেবান যোদ্ধা বন্দী ছিল , তারাই এখন কারাগারটির রক্ষক,পাহারাদার। যার বেশিরভাগ সেল বর্তমানে খালি। মাত্র ৫০জন বন্দী রয়েছে।

কারাগারের পরিচালক শরাফাতুল্লাহ হোজাইফা জানান, বন্দীদের সাথে খুব ভাল আচরণ করা হচ্ছে।তালেবান সরকার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছেন।”আমরা প্রতিশোধ চাই না,” তিনি বলেছেন। “অ্যামনেস্টি ঘোষণা করা হয়েছে। আগে সৈন্য বা পুলিশ ছিল এমন সব আফগানদের ক্ষমা করা হয়েছে।

এনিলিস বর্গস লিখেন, তারা যখন কারাগারটি পরিদর্শন করছিলেন, তখন কয়েকজন বন্দীর সাথে কথা বলতে সক্ষম হন।
মুহাম্মদ নামে একজন হাজতে থাকা আসামী কাবুলের বাসিন্দা জানান, আমরা ৪জন একটি রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম। একটি রুটি ও দুটি মুরগি কিনি। যার দাম(২০০+২০০+১০০)=৫০০ আফগান রুপি। কিন্ত রেস্টুরেন্ট বয় আরও আড়াইশো রুপি বেশি দাবি করে। এ অবস্থায় রেস্টুরেন্ট মালিককে আমার ফোন রেখে দিতে বলি। পরে বাকি টাকা দিয়ে ফোন নিয়ে যাব।

কিন্ত মালিক বদরি সৈন্যদের(তালেবান যোদ্ধা) ডেকে এনে আমাদেরকে তাদের হাতে তুলে দেয়। বদরি সৈন্যরা আমাদের মারধর করে এবং এই কারাগারে নিক্ষেপ করেছে। তারা আমাদের কোন কথাই শুনতে চাইনি।

মুহাম্মদ আরেও বলেন, “কেউ কারাগারে থাকতে চায় না। আমরা আর এখানে থাকতে চাই না। আমরা আমাদের পরিবারের সাথে থাকতে চাই। আমরা অপরাধী নই। তাদের কাছে আমাদের অপরাধের কোন প্রমাণ নেই। এখানে প্রতিটি দিন একটি বছরের মত। আমরা তালেবানের শাসন ও ইসলামিক এমিরাটস মেনে নিয়েছি। কিন্ত আমাদের অপরাধ কী সে সম্পর্কে এখন পর্যন্ত কেউ জানতে চায় নি। আমরা বিনা বিচারে এখানে রয়েছি।

bnanews24.com,Syed Golam Nabi

Loading


শিরোনাম বিএনএ