28 C
আবহাওয়া
৬:১৭ পূর্বাহ্ণ - সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » সাবেক এসপি বাবুল আক্তার জামিন পাচ্ছেন!

সাবেক এসপি বাবুল আক্তার জামিন পাচ্ছেন!

সাবেক এসপি বাবুল আক্তার জামিন পাচ্ছেন!

বিএনএ, ঢাকা: স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় কারাবন্দী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের ‍মুক্তির জন্য করা জামিন আবেদন শুনানির আদেশ ১৮ আগস্ট নির্ধারণ করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সকালে চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালত জামিনের এই বিশেষ আবেদন শুনানি করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাবুল আক্তারের আইনজীবী কফিল উদ্দিন। তিনি বলেন, আমরা তার পক্ষে বিশেষ আবেদনমূলে জামিন আবেদন করেছি। দীর্ঘ ১ ঘন্টা ২০ মিনিটের ১৮ পৃষ্ঠার জামিনের আবেদন শুনানি শেষে তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করেন আদালত। ১৮ আগস্ট এই মামলার শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেন। বাবুল আখতারের আইনজীবীর প্রত্যাশা এইদিন তিনি মুক্তি পাবেন।

আইনজীবী কফিল উদ্দিন বলেন, বাবুল আক্তার ২০২১ সালের ১০ মে গ্রেপ্তারের পর থেকে এখনো কারাবন্দি। স্ত্রী হত্যা মামলায় ৯১ জন সাক্ষীর মধ্যে ৫২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত। এখনো তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। আজ তিন বছর ৩ মাস তিনি জেলে। যদি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ না হয়, তাহলে এই সময়গুলো কেউ ফিরিয়ে দেবে। তাই আমরা চাই তাকে জামিন দেওয়া হোক।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরীর পাঁচলাইশ থানার ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে বাসার অদূরে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে খুন করা হয় মাহমুদা খানম মিতুকে। স্ত্রীকে খুনের ঘটনায় পুলিশ সদর দফতরের তৎকালীন এসপি বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সাতজনকে আসামি করে আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করে। এতে মামলার বাদী বাবুল আক্তারকেই প্রধান আসামি করা হয়।

অভিযোগপত্রে আরও যাদের আসামি করা হয়েছে, তারা হলেন- মো. কামরুল ইসলাম শিকদার মুসা, এহতেশামুল হক প্রকাশ হানিফুল হক প্রকাশ ভোলাইয়া, মো. মোতালেব মিয়া ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. খাইরুল ইসলাম কালু এবং শাহজাহান মিয়া। আসামিদের মধ্যে শুধু মুসা পলাতক আছেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ আছে।

ওই বছরের ১০ অক্টোবর আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। ২০২৩ সালের ১৩ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। ওই বছরের ৯ এপ্রিল থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। প্রথম সাক্ষী হিসেবে মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন সাক্ষ্য দেন। এ পর্যন্ত ৯১ জন সাক্ষীর মধ্যে ৫২ জনের সাক্ষ্য সম্পন্ন হয়েছে।

বিএনএনিউজ/ বিএম/হাসনা

Loading


শিরোনাম বিএনএ