21 C
আবহাওয়া
১১:১৭ অপরাহ্ণ - ডিসেম্বর ১৮, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ২ সেপ্টেম্বর ও বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন ২৮ অক্টোবর

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ২ সেপ্টেম্বর ও বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন ২৮ অক্টোবর

ওবায়দুল কাদের

বিএনএ, ঢাকা: ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (কাওলা) থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত) আগামী ২ সেপ্টেম্বর এবং ২৮ অক্টোবর কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন করা হবে।

সোমবার(১৪ আগস্ট) বনানীর সেতু ভবনের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ তথ্য জানান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পরই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সবচেয়ে বড় প্রকল্প পদ্মা সেতুর কাজ শেষ করা হয়েছে। পদ্মা সেতু থেকে সরকারের যে আয় সেটা দুই দফায় ৬৩২ কোটি টাকা প্রধানমন্ত্রীর কাছে দেওয়া হয়েছে। পরে প্রধানমন্ত্রী সেটি অর্থসচিবের কাছে দিয়েছেন।’

মন্ত্রী বলেন, আজ যে প্রকল্প নিয়ে কথা বলব সেটা পিপিপি প্রকল্প। এটা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (কাওলা) থেকে শুরু করে মহাখালী, তেজগাঁও, মগবাজার হয়ে কুতুবখালী গিয়ে শেষ হবে। প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৬৫ শতাংশ। জুন ২০২৪-এ শেষ হবে। এটা মাথায় রেখে কাজ করা হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, আর একটি ঘোষণা দেওয়া হবে। যেটি নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। সেটি হচ্ছে টানেল। এটি ২৮ অক্টোবর উদ্বোধন হবে ।

 এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে

২০১৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর প্রকল্পের বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের সংশোধিত চুক্তি সই হয়।

এটি থাইল্যান্ড ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইতালিয়ান থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেড ৫১ শতাংশ, চীন ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান শেনডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনোমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেশন গ্রুপের ৩৪ শতাংশ ও সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেড ১৫ শতাংশ অংশীদারিত্বে নির্মাণ হচ্ছে।

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে

পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) ভিত্তিক প্রকল্পটি হযরত শাহজালাল বিমান বন্দরের দক্ষিণ কাওলা থেকে শুরু হয়ে কুড়িল-বনানী-মহাখালী-তেজগাঁও-মগবাজার-মালিবাগ-খিলগাঁও-কমলাপুর হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত যাবে।

এক্সপ্রেসওয়ের মূল দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার, র‌্যাম্পসহ দৈর্ঘ্য ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার।

প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা; যার ২৭ শতাংশ বাংলাদেশ সরকার ভিজিএফ হিসেবে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানকে দেবে। এ পর্যন্ত প্রকল্পের ৬৫ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে এবং আগামী বছরের জুন মাসে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

আগামী ২ সেপ্টেম্বর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের দক্ষিণে কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত অংশ যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে, যার মূল অংশের দৈর্ঘ্য ১১ দশমিক ৫ কিলোমিটার এবং র‌্যাম্পসহ ২২ দশমিক ৫ কিলোমিটার।

এই অংশে মোট ১৫টি র‌্যাম্পের মধ্যে ১৩টি র‌্যাম্প যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।

এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ির সর্বোচ্চ গতিসীমা থাকবে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার। এতে কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত যেতে সময় লাগবে ১০ মিনিট।

 বঙ্গবন্ধু টানেল

বঙ্গবন্ধু টানেল চালু হলে চীনের সাংহাইয়ের আদলে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ মডেলে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত টানেলটি যুক্ত করবে দক্ষিণ চট্টগ্রাম আর বন্দরনগরীকে।
মাল্টিলেন টানেলটি সরাসরি চট্টগ্রাম বন্দরকে আনোয়ারা উপজেলার সঙ্গে সংযুক্ত করবে। এর মাধ্যমে কক্সবাজার সরাসরি চট্টগ্রামের সঙ্গে সংযুক্ত হবে।
বঙ্গবন্ধু টানেল
 
প্রকল্পের বিবরণ অনুযায়ী, ৩৫ ফুট চওড়া ও ১৬ ফুট উঁচু দুটি টিউব ১১ মিটার ব্যবধানে নির্মাণ করা হয়েছে, যাতে ভারী যানবাহন সহজে টানেলের মধ্যদিয়ে চলাচল করতে পারে। নির্মাণাধীন টানেলের দৈর্ঘ্য হবে ৩.৪০ কিলোমিটার। এতে ৫.৩৫ কিলোমিটারের একটি অ্যাপ্রোচ রোড ও একটি ৭৪০ মিটার ব্রিজের পাশাপাশি মূল শহর, বন্দর এবং নদীর পশ্চিম দিককে এর পূর্ব দিকের সঙ্গে সংযুক্ত করবে।
 
২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যৌথভাবে বঙ্গবন্ধু টানেলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। প্রকল্পের ঠিকাদার হিসেবে কাজ করছে চায়না কমিউনিকেশনস কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রথম টানেল টিউবের কাজের উদ্বোধন করেন।
 
বর্তমানে প্রকল্পের খরচ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৬৮৯.৭১ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ও চীন সরকারের যৌথ অর্থায়নে টানেল প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। চীনের এক্সিম ব্যাংক দুই শতাংশ সুদ হারে ঋণ দিচ্ছে ৫ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা এবং বাকি অংশের অর্থায়ন করছে বাংলাদেশ সরকার।
 

বিএনএ/ ওজি

Loading


শিরোনাম বিএনএ