।।মনিরুল ইসলাম।।
বিশ্বের নানা দেশে করোনা মহামারীর সময়ে হাসপাতালে ভয়াবহ আগুনের ঘটনা ঘটেছে। এতে শত শত কোভিড-১৯ রোগিসহ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মানুষ জীবন্ত দগ্ধ হচ্ছেন। সর্বশেষ ইরাকের আল হুসাইন হাসপাতালের ঘটনায় কমপক্ষে ৯২জন রোগি আগুনে পুড়ে মারা গেছেন। আগুনে পুড়ে আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক মানুষ।
অসুস্থ মানুষ সুস্থ হবার আশায় হাসপাতালে যান। সেখানে যদি জীবন বিপন্ন ও দুর্ঘটনার শিকার হতে হয় তাহলে মানুষ নিরাপদ চিকিৎসা কোথায় পাবে ?
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোভিড-১৯ রোগিতে দেশের হাসপাতালগুলোর অবস্থা এখন কাহিল। বেডের চেয়ে রোগি বেশি। সরকারি হাসপাতালগুলো কেবল কোভিড-১৯ রোগিই সামলাচ্ছে। সে সাথে চলছে ব্যাপক টিকা দান। সাধারণ রোগির চিকিৎসা, অপারেশন সব বন্ধ।চরম আইসিইউ সংকট।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এখন ছড়িয়ে পড়েছে দেশের গ্রামে গঞ্জে, সীমান্ত জেলায়। রাজধানীর তুলনায় রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, কুষ্টিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলে হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমন। গ্রামে বসবাসকারীরা কিছুদিন আগেও পাত্তায় দেন নি করোনা সংক্রমনকে। সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা ও মাস্ক ব্যবহার করা থেকে দুরে ছিলেন।
হাসপাতালে রোগির সংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দুচিন্তার শেষ নেই। নিজেদের নিরাপত্তার পাশাপাশি রোগিদের চিকিৎসা দেয়া এবং হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা চারটিখানি কথা না।
হাসপাতালের অভ্যন্তরে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির দায়িত্ব। বিশেষত অগ্নিকাণ্ড। আমাদের দেশের ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষের উচিত এ মুহুর্তে প্রতিটি হাসপাতালের অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা যাচাই করা এবং তা নিশ্চিত করা। কী কী কারণে আগুনের সূত্রপাত হয় তা চিহিৃত করা। যাতে ভারত,ইরাক,চীন এর হাসপাতাল ও বাংলাদেশের ঢাকার গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালের আগুনে যেভাবে রোগি পুড়ে মারা গেছে যাতে তার পুনরাবৃত্তি না ঘটে। রুপগঞ্জের সেজান জুস কারখানায় যেভাবে মানুষ পুড়ে মারা গেছে তাতে জাতি শঙ্কিত। এ মুহুর্তে জনমনে প্রশ্ন হাসপাতালে আগুন: আমাদের প্রস্তুতি কী? মহান আল্লাহতায়ালা আমাদের সকলকে হেফাজত করুন।
অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধ: নিম্নমানের বৈদ্যুতিক সামগ্রী উৎপাদন ও আমদানি নিষিদ্ধ করতে হবে
লেখক : ডিজিটাল বিজনেস উদ্যেক্তা, ওনার-smart print solution in Bangladesh