বিএনএ, ববি: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক বাংলা সিনেমার ডায়লগ “শয়তান দেহ পাবি মন পাবি না, শয়তান দেহ পাবি চিন্তা পাবি না।” কোট করে প্রশ্ন করায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছিল, তার নেতিবাচক উপস্থাপনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৪ জুন) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ডফ্লোরের সামনে এই প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা।
প্রতিবাদ সমাবেশে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, অনেকে প্রশ্নপত্রের মমার্থ না বুঝে ভুলভাবে বিষয়টিকে উপস্থাপন করছে। এটা একেবারেই কাম্য নয়, বিশ্ববিদ্যালয় মুক্ত চিন্তার জায়গা, মুক্তচিন্তায় বাধা আসে এমন নেতিবাচক উপস্থাপনা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তারা।
প্রতিবাদ জানিয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও বিভাগের শিক্ষার্থী এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি শেখ আরিফ বলেন, “সাম্প্রতিক রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষকের একটি প্রশ্নপত্র নিয়ে বিভিন্নজন বিভিন্ন মাধ্যমে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করছেন এবং সাংবাদিকরাও অনেকে বিষয়টিকে ভিউ পাওয়ার জন্য ভুলভাবে উপস্থাপন করছেন। আজকে আমাদের এই মানববন্ধন তাদের বিরুদ্ধে যারা প্রশ্নপত্রটিকে ভুলভাবে উপস্থাপন করছেন। আমাদের দাবি থাকবে সাংবাদিক ভাইদের প্রতি তারা যেন সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে আরও বেশি সচেতন হন।
একই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আল-আমিন হোসেন বলেন, ” যারা প্রশ্নের মর্মার্থ না বুঝেই বিরূপ মনোভাব ছড়িয়েছেন তাদের এহেন কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে তিব্র নিন্দা পোষণ করছি সেইসঙ্গে সংবাদ মিডিয়ার নেতিবাচক প্রকাশ নিয়েও সমালোচনা করেন তিনি।
একই বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মাসুম মাহমুদ বলেন, “একজন শিক্ষকের নিজস্ব যে স্পেস আছে শিক্ষার অধিকার, শেখানোর এবং কথা বলার অধিকার, লেখার অধিকার সেই অধিকার যেন খর্ব না হয় নেতিবাচক কোন উপস্থাপনার মাধ্যমে, সকলের প্রতি সেই আহ্বান জানিয়ে শিক্ষকের আউট অফ দ্যা বক্স এই চিন্তার জন্য সাধুবাদ জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ৮ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের বাংলাদেশ স্টাডিজ কোর্সে প্রথম বর্ষের দ্বিতীয় মিডটার্ম পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে “শয়তান দেহপাবি মন পাবি না, শয়তান দেহ পাবি চিন্তা পাবি না” উদাহরণের মাধ্যমে ব্রিটিশ হেজিমনিকে বিশ্লেষণ করতে বলেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক মেহেদী হাসান সোহাগ।
বিএনএনিউজ/রবিউল ইসলাম,বিএম