বিএনএ, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের রাউজানে আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর যুবলীগ কর্মী শহীদুল আলম হত্যা মামলার গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত আসামি আবু তাহের ওরফে কালা মনাকে দীর্ঘ ৮ বছর পর আটক করেছে র্যাব। মঙ্গলবার (১৩ জুন) রাউজানের হারিষখান পাড়া এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
বুধবার (১৪ জুন) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এ তথ্য নিশ্চিত করে।
আটক আবু তাহের চট্টগ্রাম জেলার রাউজান থানার হারিষখান পাড়া এলাকার মৃত ইউনুছ কোম্পানীর পুত্র।
র্যাবের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নিহত শহীদুল আলম ওরফে শহীদ ঘটনার কিছু দিন পূর্বে বিদেশ থেকে দেশে এসে নিজ এলাকায় কাঠের ব্যবসা শুরু করে। রাউজানের শীর্ষ সন্ত্রাসী আজিজ শহিদুলকে কাঠের ব্যবসা ছেড়ে তার নেতৃত্বে রাউজানের সন্ত্রাসী আজিজ বাহিনীতে যোগ দিতে বলে। উক্ত প্রস্তাবে রাজি না হলে আসামিরা শহীদুলকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
পরে ২০১৫ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বেলা ৩টায় আসামীরা একটি মাইক্রোবাস ও একটি প্রাইভেটকারে এসে শহীদুলকে একটি দোকানে বিশ্রামরত অবস্থায় এলোপাতাড়িভাবে তার শরীরের বিভিন্নস্থানে গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে শহীদুলের মা ঘটনাস্থলে এসে তার ছেলেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মৃত দেখতে পায়। এ ঘটনায় শহীদুলের মা সখিনা বেগম বাদী হয়ে চট্টগ্রাম জেলার রাউজান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
র্যাব আরও জানায়, হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামী মো. ইউসুফকে গত ২০২২ সালের ২২ জুন,, ফজলুল করিম ওরফে ফজুকে একই বছরের ১৬ জুলাই, রাশেদ ওরফে ভতাইয়াকে ২০২৩ সালের ১ জুন এবং মো. মহিউদ্দিনকে একই বছরের ৫ জুন র্যাব গ্রেপ্তার করে।
এরই ধারাবাহিকতায় আলোচিত শহীদুল আলম হত্যা মামলার প্রধান আসামী চট্টগ্রাম জেলার রাউজান থানার হারিষখান পাড়া এলাকায় অবস্থান করছে। গোপন সংবাদে এমন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব মঙ্গলবার (১৩ জুন) ওই স্থানে অভিযান চালিয়ে আবু তাহের ওরফে কালা মনাকে আটক করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে সে শহীদুল আলম হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী বলে স্বীকার করে। আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট থেকে সে আটক এড়াতে দীর্ঘ ৮ বছর চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে ছিল বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
আটক আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিএনএনিউজ/বিএম