বিএনএ, বিশ্বডেস্ক : বিদেশ সফরে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাডিমির পুতিনের বর্জ্য অর্থাৎ মলমূত্র সংগ্রহ করে নেওয়া হয়। পরে তা দেশে ফেরত আনা হয়। এমনই দাবি ফরাসি নিউজ ম্যাগাজিন ‘প্য়ারিস ম্যাচে’র। তাদের দাবির সমর্থন করেছে অন্যান্য বহু সংবাদমাধ্যম।
সংবাদমাধ্যমের দাবি, এমনটা অবশ্য নতুন নয়। ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকেই এই পদ্ধতি অবলম্বন করে আসছেন পুতিন। তিনি বিদেশে গেলেই তাঁর সঙ্গে থাকা নিরাপত্তারক্ষীরা এই কাণ্ড করেন। বিশেষ প্যাকেটে মলমূত্র সংগ্রহ করে সুটকেসে তা ভরে ফেরত আনা হয় মস্কোয়। এর পিছনে কী কারণ সেকথা বলতে গিয়ে ডিআইএ’র প্রাক্তন গোয়েন্দা অফিসার রেবেকা কফলারের বক্তব্য, ”পুতিনের ভয়, বিদেশি গোয়েন্দারা সব সময় লক্ষ রাখে কী করে পুতিনের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কোনও না কোনও তথ্য জোগাড় করা যায়। কিন্তু পুতিন চান এমন ইমেজ তৈরি করতে যা থেকে মনে হয় পুতিন অদূর ভবিষ্যতেও রাশিয়ার শাসক থাকবেন।” এছাড়াও মনে করা হচ্ছে, যাতে তাঁর বর্জ্য থেকে ডিএনএ সংগ্রহ করা না যায়, সেটা নিশ্চিত করতেও এমন করা হয়।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের সময় থেকেই বারবার পুতিনের শারীরিক অবস্থা নিয়ে নানা জল্পনা শোনা গিয়েছে। এমনও গুঞ্জন, ক্যানসারে আক্রান্ত পুতিন। আরও বড়জোর তিন বছর তাঁর আয়ু বাকি। দুরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত রুশ প্রেসিডেন্টের দৃষ্টিশক্তিও নাকি ক্রমে দুর্বল হয়ে আসছে। এমনও শোনা যাচ্ছে, অস্ত্রোপচারের জন্য দ্রুত লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যাবেন ক্যানসার আক্রান্ত পুতিন। তাঁর অনুপস্থিতিতে দেশের রাশ থাকবে রুশ নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান নিকোলাই পেত্রোশেভের হাতে।
যদিও এই সব গুঞ্জন উড়িয়ে দিতেই দেখা গিয়েছে রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভকে। তিনি জানিয়েছেন, “পুতিনের কোনও শারীরিক সমস্যা নেই। আমার মনে হয় না মানসিকভাবে সুস্থ মানুষ তাঁর শরীরে রোগের কোনও উপসর্গ খুঁজে পাবেন। আগামী অক্টোবরে ৭০ বছরে পা দেবেন তিনি। রোজই জনসমক্ষে আসেন পুতিন। আপনারা তাঁকে টিভিতে দেখতে পাবেন। তাঁর ভাষণ শুনতে পাবেন।”
বিএনএনিউজ/এইচ.এম।