20 C
আবহাওয়া
৬:১৮ পূর্বাহ্ণ - নভেম্বর ২৪, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » তারেক চায় খসরুকে, তৃণমূলের ‘না’

তারেক চায় খসরুকে, তৃণমূলের ‘না’


বিএনএ, ডেস্ক : মির্জা ফখরুল ইসলাম বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব থাকছেন না এটা এক ধরনের নিশ্চিত। লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া মনে করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অনেক সময় তার নির্দেশনা মানছেন না। এ ছাড়া তার সঙ্গে সরকারের সুসর্ম্পক রয়েছে, সেকারণে বিএনপিকে একটি আন্দোলনমূখী দলে পরিণত করতে ব্যর্থ হয়েছে।

তারেক জিয়া ইতোমধ্যে বিএনপির  নতুন মহাসচিব নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান  বিভিন্ন জেলার স্থানীয় পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে নৈশ জুম বৈঠকে মিলিত হচ্ছেন । এ পর্যন্ত নোয়াখালী, কুমিল্লা, সিলেট, বরিশালসহ অন্তত দশটি জেলায় নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। ওই সব  বৈঠকে তারেক জিয়া দল পুনর্গঠন, নতুন নেতৃত্ব ইত্যাদি বিষয়ে দলের নেতৃবৃন্দের খোলাখুলি মতামত জানতে চান।  জুম বৈঠকে খোলাখুলি মতামতে  তারেক জিয়া জানতে চান যদি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মহাসচিব না থাকেন তাহলে কাকে মহাসচিব করা যেতে পারে?

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়,  অধিকাংশ তৃণমূলের কর্মীরা তাদের পছন্দের কথা জানাতে প্রথমে অস্বস্তি প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে তারেক তাদেরকে আশ্বস্ত করেন যে, এই বৈঠকের খবর বাহিরে প্রকাশিত হবে না এবং বৈঠকে উপস্থিত নেতৃবৃন্দকেও সতর্ক করা হয় তারা যেন এই বৈঠকের বিষয়টি দলের কেন্দ্রীয় নেতা বা সিনিয়রদের সঙ্গে আলোচনা না করে। এরপর এই বৈঠকে মতামত প্রকাশের জন্য সবাইকে স্বাগত জানানো হয়। এই সব বৈঠকে বিভিন্ন জেলার অধিকাংশ কর্মীরা দলের পরবর্তী মহাসচিব হিসেবে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নাম উচ্চারণ করেছেন। তার পেছনে বিএনপির নেতাকর্মীরা যুক্তি দেখিয়েছেন, তিনি নিবেদিতপ্রাণ ত্যাগী। কর্মীদের কাছে তিনি শ্রদ্ধার আসনে আসীন। তাছাড়া সব সংকটেই তাকে সাহসী ভাবে দেখা যায়। এ কারণে রিজভীর মহাসচিব হওয়া উচিত বলে মনে করছেন তৃণমূলের এসব নেতারা।

তবে বেশ কিছু স্থানীয় পর্যায়ের নেতা মনে করেন যে, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সবচেয়ে যোগ্য ব্যক্তি। এখন পর্যন্ত তাঁর কোনো বিকল্প নেই। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের মহাসচিব থেকে সরে গেলে দলের সার্বিক পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

তারেক জিয়া উপযাচক হয়ে কয়েকটি বৈঠকে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী যদি বিএনপির মহাসচিব হয় তাহলে সেটি কেমন হয়- এই প্রশ্নটা জিজ্ঞেস করেছেন। এর উত্তরে স্থানীয় পর্যায়ের কিছু নেতা নীরবতা অবলম্বন করেছেন। অনেকে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন। খুব অল্প সংখ্যক ব্যক্তি আমীর খসরু মাহমুদকে ইতিবাচকভাবে দেখেছেন।

তবে বিএনপির অধিকাংশ তৃণমূলের নেতারাই মনে করছেন যে, তারেক জিয়া যদি নেতৃত্বে থাকেন তাহলে কে মহাসচিব হলেন সেটি বড় বিষয় নয়। তারা জিয়া পরিবারের বাহিরে যেন নেতৃত্ব না যায় সে ব্যাপারেও তারেক জিয়ার কাছে অনুরোধ করেছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির একটি সূত্র জানিয়েছে  মির্জা ফখরুল ইসলামের সঙ্গে তারেক জিয়ার বিভিন্ন বিষয়ে মতবিরোধ তৈরি হয়েছে। এই অবস্থায়  মহাসচিব হিসেবে থাকতে চান না তিনি।  এই বিষয়টি নিয়ে  কয়েক দফা তারেক জিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও তারেক জিয়ার মতবিরোধ এখন এমন একটি অবস্থানে পৌছে গেছে যে, শেষ পর্যন্ত যদি মহাসচিব পদে রাখার জন্য বাধ্য করা হয় তাহলে তিনি পদত্যাগ করতে পারেন। তাছাড়া ইদানিং তিনি দলের কার্যক্রম থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন। এ রকম অবস্থায় নতুন মহাসচিব অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে তারেক জিয়া বিভিন্ন জেলায় বৈঠক করছেন বলে রাজনীতি বিশ্লেষকদের ধারণা।

 

শামীমা চৌধুরী শাম্মী/হাসনা

 

Loading


শিরোনাম বিএনএ