বিএনএ, ঢাকা: কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার জানিয়েছেন, শিগগিরই পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়া হবে। কৃষকের স্বার্থ বিবেচনায় সাময়িকভাবে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রাখা হয়েছে।
রোববার (১৪ মে) সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ সংক্রান্ত সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
কৃষি সচিব বলেন, দেশের অভ্যন্তরে পেঁয়াজের বাজার সবসময় মনিটর করা হচ্ছে। এই মুহূর্তে বাজারে পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেশি। কয়েক দিনের মধ্যেই পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়া হবে।
তিনি বলেন, এ বছর দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে ৩৪ লাখ টনের বেশি। আর বর্তমানে মজুদ আছে ১৮ লাখ ৩০ হাজার টন।
সভায় পেঁয়াজের উৎপাদন, চাহিদা ও আমদানির তথ্য তুলে ধরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। এতে জানানো হয়, গত দুই বছরে দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন বেড়েছে ১০ লাখ টনেরও বেশি। এবছর দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে ৩৪ লাখ টনের বেশি। আর বর্তমানে মজুদ আছে ১৮ লাখ ৩০ হাজার টন। কিন্তু উপযুক্ত সংরক্ষণের অভাবে বা প্রতিকূল পরিবেশের কারণে ৩০-৩৫% পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যায়। দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ২৬- থেকে ২৮ লাখ টন।
সভায় আরও জানানো হয়, বর্তমানে এক কেজি দেশি পেঁয়াজের উৎপাদন খরচ ২৮-৩০ টাকা। গতবছর ২০২১-২২ অর্থবছরে আমদানি উন্মুক্ত থাকার কারণে আমদানি বেশি হয়েছিল। দেশি পেঁয়াজের বাজারদর কম ছিল, ৩০- ৩৫ টাকা ছিল। কৃষকেরা কম দাম পেয়েছিল। সেজন্য পেঁয়াজ চাষে কৃষকের আগ্রহ ধরে রাখতে এবছর পেঁয়াজ আমদানি সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
উল্লেখ্য, কয়েক সপ্তাহ ধরে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী। ঢাকার বাজারে চলতি সপ্তাহে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তিন সপ্তাহ আগেও যা ছিল ৩৫ টাকা। এ ছাড়া পেঁয়াজের পাশাপাশি বাজারে ঊর্ধ্বমুখী আলু ও অন্যান্য সবজির দামও।
বিএনএ/এমএফ
Total Viewed and Shared : 1115