বিএনএ,চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামসহ সারাদেশে আজ পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্যাপিত হচ্ছে। এবারের ঈদ উদ্যাপনেও পড়েছে করোনার ছায়া। এ ভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকতে সুরক্ষা ও সামাজিক দূরত্বের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে অন্য রকমভাবে উদ্যাপন করা হচ্ছে ঈদ। তবে চট্টগ্রামে সকালের দিকে বৃষ্টি থাকায় নগরীর আগ্রাবাদ, চকবাজার, মুরাদপুরসহ বিভিন্ন স্থানে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় নগরবাসীর ঈদ আনন্দে কিছুটা ভাটা পড়েছে।
শুক্রবার ( ১৪ মে) সকাল থেকে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় মুষলধারে বৃষ্টির কারণে ঈদ জামাতেও অংশ নিতে পারেননি অনেকে। এছাড়া পথঘাট ডুবে যাওয়ায় ঘর থেকেও বের হওয়া সম্ভব হয়নি নগরবাসীর পক্ষে। তবে নানা সীমাবদ্ধতার মাঝেও ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন নগরবাসী।
চট্টগ্রাম আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ২৭ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে চট্টগ্রামে। যা আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরও বাড়তে পারে। বিশেষত মাঝ রাত থেকে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাতের জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সাথে চট্টগ্রামের নদী বন্দরগুলোতে দেখানো হয়েছে এক (১) নম্বর নৌ- সতর্কতা সংকেত।
চট্টগ্রামের প্রধান আবহাওয়া কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ ও পূর্বাভাস কর্মকর্তা উজ্জল কান্তি পাল বলেন, চট্টগ্রামে আজ মাঝ রাত থেকে বৃষ্টি আরও বাড়ার জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে। এখন এক নম্বর নৌ- সতর্কতা সংকেত আছে। আমরা ফোরকাস্ট (পূর্বাভাস) দিয়েছি হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে চট্টগ্রামে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৩ মে) আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত চট্টগ্রামের কিছু কিছু জায়গায় দমকা হাওয়াসহ বজ্রপাত হতে পারে। তাছাড়া দক্ষিণ, দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে তেড়ে আসা বাতাস বইতে পারে ঘন্টায় ২৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার বেগে।
বিএনএনিউজ/মনির