বিএনএ, ডেস্ক: ৩১ দিন পর মুক্তি পেয়েছেন সোমালি জলদস্যুদের হাতে জিম্মি থাকা জাহাজ এমভি আবদুল্লাহসহ বাংলাদেশি ২৩ নাবিক। মুক্ত হওয়ার পর জাহাজটি নিয়ে নাবিকরা সংযুক্ত আরব আমিরাতের বন্দরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। সেখান থেকে তারা দুবাই হয়ে বিমানে দেশে ফিরবেন।
বাংলাদেশ সময় শনিবার (১৩ এপ্রিল) মধ্যরাতে ২৩ নাবিক নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বন্দরের উদ্দেশে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ।
কেএসআরএম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান জানান, সমঝোতার পর নাবিকসহ জাহাজটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। জাহাজের চারপাশে একাধিক আন্তর্জাতিক যুদ্ধজাহাজ রয়েছে।
তবে মুক্তিপণ কত এবং কিভাবে দেওয়া হয়েছে সেটি নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি জাহাজের মালিক পক্ষের কোনো কর্মকর্তা।
যদিও সূত্রে জানা গেছে, ডলারের কয়েকটি ব্যাগ পৌঁছানোর পরই মুক্তি মেলে ২৩ নাবিক ও জাহাজের।
জানা গেছে, নাবিকরা দুবাই বন্দরে পৌঁছে জাহাজ রেখে বিমানের ফ্লাইটে সরাসরি চট্টগ্রাম ফিরবেন। আর জাহাজে যোগ দেবেন নতুন নাবিকরা।
এর আগে শনিবার রাতে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও জাহাজটিতে থাকা ২৩ জন নাবিক।
বাংলাদেশ সময় শনিবার দিবাগত রাত সোয়া ৩টার দিকে জাহাজটির মালিক পক্ষ কেএসআরএম গ্রুপ গণমাধ্যমকে এ খবর নিশ্চিত করেছে। জাহাজটিতে থাকা নাবিকদের সবাই সুস্থ রয়েছেন বলে জানা গেছে।
গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজটি ছিনতাই করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। এরপর তারা জাহাজটি সোমালিয়া উপকূলে নিয়ে যায়। মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে জাহাজটি দস্যুদের কবলে পড়েছিল।
নিজ দেশের উপকূলে নেওয়ার ৯ দিনের মাথায় জলদস্যুরা মুক্তিপণের জন্য জাহাজের মালিক পক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের সঙ্গে যোগাযোগ করে। নানা পর্যায়ে দর-কষাকষির পর দস্যুদের সঙ্গে সমঝোতা -আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছিল বলে ঈদের আগেই আভাস দিয়েছিল জাহাজটির মালিক পক্ষ।
বিএনএনিউজ/ বিএম