রাজধানীতে গত আট বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) এ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। তীব্র গরম অনেকটা মরুভূমির মতো। মরুভূমিতে দিনে তীব্র গরম আর রাতে তাপমাত্রা নেমে যায়। সেখানে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণও কম থাকে। ঢাকাসহ সারা দেশে দিনের বেলায় জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশ কম।
বাংলাদেশের আকাশে কোথাও একটানা বৃষ্টি হওয়ার মতো মেঘ নেই। প্রবল দাবদাহের কারণে দেশের কোথাও কোথাও আঞ্চলিক মেঘ তৈরি হচ্ছে- সেখান থেকে আগামী রোববার দেশের কোনো কোনো জেলায় বৃষ্টি হতে পারে। তবে এ মাসের শেষ দিকে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বড় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক জানান, মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট বিভাগসহ নীলফামারী জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। আগামী ৭২ ঘণ্টায়ও তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানান তিনি।
গত বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন যশোরে তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর ঢাকায় ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অবশ্য এর আগে গত বছরের ১৫ এপ্রিল রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি। এর আগে ২০১৪ সালে ৪২ ডিগ্রি এবং ২০২১ সালে ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল যশোরে।
২০১৪ সালের ২২ এপ্রিল ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা ছিল পাঁচ দশকে সর্বোচ্চ। তার আগে ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড হয়েছিল ২০০৯ সালের ২৭ এপ্রিল, ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ইতিহাস বলছে ঢাকার তাপমাত্রা এর আগে ১৯৬০ সালে ঢাকায় ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা উঠেছিল। আর ১৯৭২ সালের ১৮ মে রাজশাহীতে রেকর্ড ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হয়েছিল।
তবে দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়, মাসের শেষার্ধে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ