বিএনএ ঢাকা: আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল(সিএমএইচ)এ চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭১ বছর।
গত ১০ই মার্চ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার জন্য করোনা টেস্ট করান একাত্তরের রনাঙ্গণের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন খসরু। সেই টেস্টে রিপোর্ট পজেটিভ আসে। ১৬ই মার্চ ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি হন সাবেক এই আইনমন্ত্রী।
সেখানে মাসখানেক ধরে তার চিকিৎসা চলে। কিছুদিন আগে খানিকটা সুস্থ্যও হয়ে ওঠেন তিনি । কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না, চিরতরে চলে গেলেন এই আওয়ামী লীগ নেতা।
তার এমন মৃত্যুতে শোক নেমে আসে তার সহকর্মী ও রাজনৈতিক সহযোদ্ধারদের মাঝে।আব্দুল মতিন খসরুর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১৯৫০ সালের ১২ই ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার মাধবপুর গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন আব্দুল মতিন খসরু । ৭ ভাই বোনের মধ্যে সবার বড় তিনি।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে বিএ পাশ করার পর কুমিল্লা ল’ কলেজ থেকে এলএলবি করেন এই রাজনৈতিক নেতা। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজকল্যাণে মাস্টার্স ডিগ্রি নিয়েও আইন পেশায় জড়িয়ে পড়েন তিনি।
১৯৬৬ সালে ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা দাবি আদায়ে রাজপথে ছিলেন আবদুল মতিন খসরু। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে কমান্ডার হিসেবে রনাঙ্গণের দায়িত্ব পালন করেছেন।
আবদুল মতিন খসরু ১৯৮৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত ছয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আইনমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এই মুক্তিযোদ্ধা।
২০০৯ সালে আবদুল মদিন খসরু আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পান। সব শেষ ২০১৭ সালে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য নির্বাচিত হন বর্ষীয়ান এই আওয়ামী লীগ নেতা। একাদশ জাতীয় সংসদের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিরও সভাপতি ছিলেন আব্দুল মতিন খসরু।
স্ত্রী ও দুই সন্তান রেখে গেছেন এই রাজনীতিবিদ। তার ছেলে একটি বিদেশী সংস্থায় কাজ করছেন এবং মেয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক।
বিএনএনিউজ/আরকেসি