লাইফস্টাইল ডেস্ক: রোজায় ইফতার করা পর শরীরে ভর করে রাজ্যের ক্লান্তি। আপনি সারা দিন রোজা টেবিলে রাখা মজার খাবারগুলো পেটপুরে খেয়ে নিলেন, এরপর ভাবছেন মুহূর্তেই শক্তিশালী হয়ে যাবেন? আপনার প্রত্যাশা এমনটা থাকলেও আসলে তা হয় না। কারণ, ইফতার খাওয়ার পরপরই আপনার ক্লান্তি লাগতে শুরু করে।
সারা দিন রোজা রাখার পর ইফতারে একগাদা খাবার একসঙ্গে খাওয়ার কারণে তা হজমে সময় লাগে। আর তাতেই ক্লান্ত হয়ে যায় আমাদের শরীর। তাহলে ইফতারে কী খাবেন। আর কী করলে ক্লান্তি লাগবে না। চলুন জেনে নিই এমন কিছু উপায়, যা মেনে সহজেই এড়ানো যাবে ইফতারের পরের ক্লান্তি–
পানিশূন্যতা দূর করুন
সারা দিন পানাহার থেকে বিরত থাকার কারণে খুব স্বাভাবিকভাবেই আমাদের শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। এরপর ইফতারে তেলে ভাজা আর বিভিন্ন মসলাদার খাবার খাওয়া হয়। ফলে পানির ঘাটতি পূরণ হয় না। ইফতারের পর প্রচুর পানির দরকার হয় শরীরের। তাই বিভিন্ন ফল, ফলের রস, শরবত, ডাবের পানি ইত্যাদি খান। এতে শরীরে পানির ঘাটতি দূর হবে।
একসঙ্গে অনেক খাবার খাবেন না
ইফতারে এক সঙ্গে অনেক বেশি খাবার খাবেন না। একবারে অনেক বেশি খাবার খাওয়া সারা দিন রোজা থাকার পর ক্লান্তি লাগার একটি বড় কারণ। আপনি ক্ষুধার্ত ঠিক আছে, তবে পেটকেও সময় দিতে হবে হজম করতে। তাই একসঙ্গে অনেক বেশি খাবার না খেয়ে অল্প অল্প করে খান। কিছুক্ষণ পরপর খান। এতে শরীর খুব একটা ক্লান্ত হবে না। খাবার হজমের জন্যও পর্যাপ্ত সময় পাবে।
নামাজ পড়ে নিন
ইফতারের শুরুতে একটি খেজুর ও এক গ্লাস পানি খেয়ে নামাজ মাগরিবের নামাজ পড়ে নিন। এতে নামাজ সময়মতো আদায় হয়ে যাবে এবং ততক্ষণে আপনার পেটও খাবার হজমের জন্য তৈরি হবে। নামাজ শেষ করে ইফতারের বাকি খাবার খাবেন। যারা এভাবে খেয়ে অভ্যস্ত, তারা তুলনামূলক অনেক কম ক্লান্ত হন।
চা কিংবা কফি
রোজায় চা কিংবা কফি পানের অভ্যাস বাদ দেন অনেকে। তবে ইফতারের পর ক্লান্তি কাটানোর জন্য এক কাপ চা কিংবা কফি পান করতে পারেন। কারণ, এ ধরনের পানীয়তে থাকা ক্যাফেইন আপনাকে ভেতর থেকে সতেজ রাখতে কাজ করে। তবে এই চা কিংবা কফি যেন খুব কড়া না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করুন
ইফতারের পরপরই শুয়ে-বসে থাকবেন না। বরং স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করুন। আমাদের শরীর আমাদের মনের কথা শুনে চলে। তাই নিজেকে ক্লান্ত ভাববেন না। বরং ইফতারের পর কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করুন। এতে ক্লান্তি দূর হবে সহজেই। একই সঙ্গে হজমও ভালো হবে।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ