বিএনএ, ঢাকা : আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মির্জা ফখরুল সাবলীলভাবে মিথ্যা কথা বলেন। সেজন্য তাকে অনেকে ভিন্ন নামও বলেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কথায় আমরা সবাই বিনোদন পাই ও কৌতুক বোধ করি’- বিএনপির মহাসচিবের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তিনি আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক সম্পর্কে একথা বলে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করেছেন, কাউকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করা ঠিক নয়।’
রোববার(১৪ মার্চ )দুপুরে সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত রাবাহ লারবি মন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, রাজনীতিতে সমালোচনা হবে। আমাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে বা সরকারের সমালোচনা হতে পারে। আশা করি ব্যক্তিগত সমালোচনা করবেন না। তিনি (মির্জা ফখরুল) কৌতুক করেন আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদকের বিষয়ে? ওনার কথায় দেশবাসী কৌতুক করে।
বাংলাদেশ এখন সবকিছুতেই স্বয়ংসম্পূর্ণ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ঘোষণা করেছেন বাংলাদেশে কোনো গৃহহীন মানুষ থাকবে না। সেই লক্ষ্যে তিনি কর্মসূচি নিয়েছেন। করোনাকালে তিনি দলের সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছিলেন মানুষের পাশে থাকার জন্য। আমাদের দলের নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে করোনার শুরু থেকে মানুষের পাশে থেকেছে।
সুবর্ণজয়ন্তীর মাসে বিএনপি বেশ কিছু রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নেমেছে, সেক্ষেত্রে আপনাদের দল থেকে পাল্টা কোনো কর্মসূচি থাকবে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে বিশ্বাস করি না। জনগণ আওয়ামী লীগকে রায় দিয়েছে দেশ পরিচালনার জন্য। প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে গত ১২ বছর ধরে দেশ পরিচালনা করছেন। সে কারণেই আজ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে এসে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী সকাশে আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত
এর আগে তথ্যমন্ত্রীর সাথে তার দপ্তরে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন বাংলাদেশে নিযুক্ত আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত রাবাহ লারবি।
এ বৈঠক সম্পর্কে ড. হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের জানান, ‘আলজেরিয়া বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতিদানকারী দেশগুলোর অন্যতম। ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আলজেরিয়া সফর করেছিলেন এবং ১৯৭৪ সালে লাহোরে অনুষ্ঠিত ওআইসি সম্মেলনে যোগ দেয়ার জন্য আলজেরিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হুমেদিন তিনি ঢাকায় এসে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গিয়েছিলেন এবং বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের ইসলামাবাদে ওআইসি সম্মেলনে যাওয়ার শর্ত দিয়েছিলেন যে, পাকিস্তানকে অবশ্যই বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। এই স্বীকৃতি দেয়ার পরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ওআইসি সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন।’
আলজেরিয়ার সাথে আমাদের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আছে এবং আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাথে সেখানে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, ওষুধ, চামড়া ও পাটজাত পণ্য এবং দক্ষ জনশক্তি রপ্তানির বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করেছি, সেইসাথে আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত গণমাধ্যম ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা ও যোগাযোগ বৃদ্ধির যে প্রস্তাব দিয়েছেন, তা আমরা ইতিবাচক বিবেচনায় এনেছি, জানান তথ্যমন্ত্রী।
বিএনএ/ওজি