বিএনএ ডেস্ক : ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক আজ বসন্ত। বসন্তের পহেলা দিনে ভালবাসা ধরা দিয়েছে ভিন্ন মাত্রিকে। আজ বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। তরুণ-তরুণী শুধু নয়, নানা বয়সের মানুষের ভালোবাসার বহুমাত্রিক রূপ প্রকাশের আনুষ্ঠানিক দিন আজ। এ ভালোবাসা যেমন মা-বাবার প্রতি সন্তানের, তেমনি মানুষে-মানুষে ভালোবাসাবাসির দিনও এটি।
গরমও নয় শীতও নয় উভয়ের মাঝামাঝি এ সময়টা দারুণ উপভোগের। এটি নিয়ে আমাদের দোরগোড়ায় হাজির হয় বসন্ত । বসন্ত বাতাসে দোলে প্রাণভোমরা । যার ছোঁয়ায় প্রেমিক মন হারিয়ে যাবে নতুন করে। প্রেমে পড়তে চাইবে নতুন করে। আজ পহেলা ফাগুনের দিনে হবে ভালোবাসার জয়গান। হৃদয়ে হৃদয় আর হাতে হাত রেখে আজ যুগলরা একে অপরকে ভালোবাসার উষ্ণ আলিঙ্গন জানিয়ে বলছে ‘হ্যাপি ভ্যালেন্টাইনস ডে’।
ভালোবাসার উৎসবে মুখর আজ নগরী। এ উৎসবের ছোঁয়া লাগবে গ্রাম-বাংলার জনজীবনেও। মুঠোফোনের মেসেজ, ই-মেইল অথবা অনলাইনের চ্যাটিংয়ে বিনিময় হচ্ছে ভালবাসার বার্তা।
ইতিহাসবিদদের মতে, দুটি প্রাচীন রোমান প্রথা থেকে এ উৎসবের সূত্রপাত। এক খ্রিস্টান পাদ্রী ও চিকিৎসক ফাদার সেন্ট ভ্যালেনটাইনের নামানুসারে দিনটির নাম ভ্যালেনটাইনস ডে করা হয়। ২৭০ খ্রিস্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারি খ্রিস্টানবিরোধী রোমান সম্রাট গথিকাস আহত সেনাদের চিকিৎসার অপরাধে সেন্ট ভ্যালেনটাইনকে মৃত্যুদণ্ড দেন।
মৃত্যুর আগে ফাদার ভ্যালেনটাইন তার আদরের একমাত্র মেয়েকে একটি ছোট্ট চিঠি লেখেন, যেখানে তিনি নাম সই করেছিলেন ফ্রম ইওর ভ্যালেনটাইন। সেন্ট ভ্যালেনটাইনের মেয়ে এবং তার প্রেমিক মিলে পরের বছর থেকে বাবার মৃত্যুর দিনটিকে ভ্যালেনটাইনস ডে হিসেবে পালন করা শুরু করেন।