ফুল ফুটুক না ফুটুক আজ বসন্ত। কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের এই কবিতাটি বাঙালী সমাজে খুবই জনপ্রিয়। বসন্তের আগমন ঘটে ফুলে-ফলে বর্ণিল প্রকৃতি নিয়ে। প্রকৃতির এই রূপ-লাবণ্য মানব মনেও যেন অন্য রকম দোলা দিয়ে যায়। মূলত, বসন্ত যতটা প্রকৃতি ও মানব হৃদয়ে বর্ণিল ও মূর্ত হয়ে ধরা দেয় অন্য কোনো ঋতু এমন করে প্রকৃতি ও মানুষের অনুভূতিকে অতটা আলোড়িত করে না। সে কারণে বসন্তকে ঋতু রাজ বলা হয। ফালগুন মাসে মাসের প্রথম দিনেই আবহমান কাল থেকে বাংলাদেশে বসন্তকে বরণ করা হয় হলুদ রঙ্গের সাজে। এ ক্ষেত্রে নারীরা ছিল এগিয়ে। হলুদ শাড়ি পড়ে প্রিয়মানুষটি নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর দৃশ্য ছিল চির চেনা। তৃতীয় প্রজম্মের নারীদের মধ্যে এবার ভিন্নতা দেখা গেল। চট্টগ্রামে একটি নারী বাইক টিম বসন্তকে বরণ করেছে ব্যতিক্রমভাবে। এক ঝাঁক লেডি বাইকার শো ডাউন দিলেন চট্টগ্রাম শহরে। দেশে এক সময় নারীদের সাইকেল বা বাইক চালনা খুব দেখা যেত না। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নারীরাদের জীবনযাপনেও পরিবর্তন এসেছে। তারা এখন বাইক নিয়ে কর্মস্থলে যাচ্ছে। যাচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ নানা গন্তব্যে। এটি নারীর ক্ষমতায়নের একটি মাইলফলক হিসেবে দেখছে, সাধারণ মানুষ। বিএনএ নিউজ টোয়ান্টি ফোর ডটকম পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত (Patenga Sea Beach) বাংলাদেশের সুন্দর ও জনপ্রিয় সমুদ্র সৈকতগুলোর মধ্যে অন্যতম। চট্টগ্রাম থেকে মাত্র ১৪ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই সমুদ্র সৈকতে সহজেই যাওয়া যায় বলে পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছেই। এছাড়া এই সৈকতকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলার জন্যে বেশ কিছু পরিকল্পণা বাস্তবায়িত হচ্ছে। ৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের পতেঙ্গা সৈকতকে আধুনিক ও বিশ্বমানের পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ চলছে। ইতিমধ্যে সম্পন্ন হওয়া দৃষ্টিনন্দন সাজসজ্জা নজর কেড়েছে সবাইকে। কর্ণফুলী নদী ও সাগরের মোহনায় অবস্থিত পতেঙ্গায় সূর্যোদয় কিংবা সূর্যাস্তের দৃশ্য খুবই মনোরম। বিশেষ করে বিকেল, সূর্যাস্ত ও সন্ধ্যার সময়টুকু অবশ্যই ভাল লাগবে। চট্টগ্রাম বন্দরের জন্যে অপেক্ষমান সারি সারি ছোট বড় জাহাজ এইখানের পরিবেশে ভিন্নতা নিয়ে আসে। পতেঙ্গায় রয়েছে স্পীড-বোটে চড়ে সমুদ্রে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ রয়েছে। সমুদ্র তীরে ঘুরে বেড়ানোর জন্যে আছে সী বাইক ও ঘোড়া। কেনাকাটার জন্যে আছে বার্মিজ মার্কেট। খাওয়া দাওয়ার জন্যে আছে হরেক রকক মজাদার স্ট্রিট ফুড।