প্রতিরাতে বাচ্চাগুলোকে দুধ খাইয়ে মেছো বাঘটি চলে যায়। এভাবে প্রায় ১মাস চলছে। বনবিভাগের কর্মীদের ধারণা, আরও ২৫/২৮দিন এভাবে দুধ দেবে মা মেছো বাঘটি।তারপর ওরা মায়ের সাথে জঙ্গলে চলে যাবে।
৯ ফেব্রুয়ারি ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার পক্ষিয়া ইউনিয়নের উদয়পুর গ্রামের হাসেম ব্যাপারি বাড়ির সোলায়মানের লাকরির ঘরে মেছো বাঘের বাচ্চা ৪টি পাওয়া যায়।
বাড়ির মালিক মো: সোলায়মান সাংবাদিকদের জানান, তার রান্নাঘরের উপরে মাঁচা তৈরি করে লাকরি রাখেন। অনেক দিন রান্না ঘরের উপর থেকে লাকরি না নামানোর সুযোগে কোন এক সময় মেছো বাঘ এসে বাচ্চা প্রসব করে। লাকরি ঘরের পাশে নারকেল গাছ থাকায় সেই গাছ বেয়েই বাঘটি আসে। রাতে যখন মা বাঘটি আসে তখন বাচ্চাগুলো ডেকে উঠে ও লাকরির শব্দ হয়। তাই সহজেই টের পাওয়া যায়। দিনের বেলায় আর মা বাঘটির দেখা পাওয়া যায়না।
বন্যপ্রাণি ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো: আমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এসব মেছো বাঘ বেশ উপযোগী। কিন্তু সাম্প্রতি নানান কারণে এসব প্রাণির আবাসস্থলের সংকট দেখা দিয়েছে।তাই মানুষের ঘরের নিরাপদ স্থানে বাঘটি বাচ্চা প্রসব করেছে।
মেছো বাঘ যেহেতু মানুষের কোন ক্ষতি করেনা এবং শাবকগুলো অনেক ছোট হওয়ায় উদ্ধার হওয়া স্থান থেকে অপসারণ করা হয়নি। এতে করে শাবকগুলো দুধ পানসহ মাতৃস্নেহে লালিত হচ্ছে এবং স্বাভাবিক রয়েছে। বর্তমানে বাচ্চগুলোর বয়স প্রায় এক মাস করে। তাই সোলায়মানের বাড়ি থেকে বাচ্চাগুলো সরানো হয় নি। বাঘের বাচ্চাগুলোর কোন ক্ষতি হবেনা মর্মে বাড়ির মালিকের মুচলেকা রাখা হয়েছে।সূত্র: বাসস
বিএনএ নিউজ২৪,