বিএনএ ডেস্ক, ঢাকা: হাজারো অভিযোগ নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা ও চার কমিশনারের পাঁচ বছর মেয়াদ শেষ হচ্ছে আজ। তাদের মেয়াদে অনিয়ম, দুর্নীতি, পক্ষপাতসহ নানা নেতিবাচক নজির সৃষ্টি করেছে। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নানা বিতর্ক ও সমালোচনার মধ্যে পড়ে এ কমিশন। তাদের বিরুদ্ধে শুধু রাজনৈতিক দলই নয়, নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকেও ছিল নানা অভিযোগ। তবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা দাবি করেছেন, নিরপেক্ষতা এবং সাফল্যের সঙ্গে তারা দায়িত্ব পালন করেছেন।
২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বর্তমান নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পাঁচ বছর মেয়াদ আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে। সন্ধ্যায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনে বিদায় অনুষ্ঠান করবেন ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তারা। সিইসি বেলা ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করবেন।
এদিকে সংবিধানের নির্দেশনা মোতাবেক নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ পাঁচ বছর। সে হিসেবে আজ বর্তমান কমিশনের শেষ দিন। তবে নতুন ইসি গঠন প্রক্রিয়া চলছে। ইসি নিয়োগ আইনানুযায়ী, নতুন কমিশন গঠনের প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সার্চ কমিটি গঠিত হয়েছে। এই কমিটি রাষ্ট্রপতির কাছে ১০ জনের নাম সুপারিশ করার কার্যক্রম গুছিয়ে আনছে। এই ১০ জনের তালিকা থেকেই সিইসিসহ নতুন কমিশনের পাঁচজনকে নিয়োগ দেবেন রাষ্ট্রপতি। সার্চ কমিটি গঠনের পর থেকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে এই নাম পাঠাতে হবে। সেই হিসেবে নাম সুপারিশের জন্য আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় পাচ্ছে কমিটি।
তবে সংশ্নিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, দু-এক দিনের মধ্যেই নতুন ইসি শপথ নিতে পারে। সার্চ কমিটির কাজ শুরুর দিনেই মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছিলেন, ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় থাকলেও সার্চ কমিটি আগেই কাজ শেষ করবে।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ