বিএনএ,ধামরাই (ঢাকা): ঢাকার ধামরাইয়ে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে দু’পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও সাটুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার(১৪ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের কামারপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলো, আহম্মদ আলী (৪৮), হামেদা বেগম (৪০), মো. সুলতান (৪০), শাহীন আলম (৩৪), ফিরুজ কবির (২০), ফিরুজা বেগম (৩৪)। এছাড়াও বিবাদী পক্ষের ৪-৫জন আহত হয়েছেন বলে জানা যায়।
অভিযুক্তরা হলেন, সানোয়ার হোসেন (৩৫), আনোয়ার হোসেন (৩৬), ফৈজুদ্দিন (৬০), আব্দুল আজিজ (৫৫), বিউটি বেগম (২৮), আলেয়া আক্তার (২৫), আনোয়ারা বেগম (৩৮), হালিমা আক্তার (২৫), মাজেদা বেগম (৫৫) ও আনোয়ারা বেগম (৪৮)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আহম্মদ আলীর সঙ্গে একই এলাকার আব্দুল আজিজ ও ফৈজুদ্দিনের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। সকালে বিরোধপূর্ণ জমিতে আব্দুল আজিজ ও ফৈজুদ্দিন তার লোকজন নিয়ে বাড়ি নির্মাণ করতে যায়। এতে বাধা দেয় আহম্মদ ও তার পরিবারের লোকজন। এসময় উভয়পক্ষের লোকজনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বিবাদী পক্ষের সানোয়ার হোসেন বাঁশের লাঠি দিয়ে বাদীপক্ষকে আঘাত করে। তখন দুইপক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে নারীসহ উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও সাটুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
ভুক্তভোগী মো. কিতাব আলী বলেন, আমাদের পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে আজু (আজিজ) ও ফৈজুদ্দিন জোরপূর্বক দখল করে আছে। জমিটি নিয়ে আমরা কোর্টে মামলা করি। কোর্ট থেকে আমাদের পক্ষে রায় হয়। তারপরও ওরা কোর্টের রায় অমান্য করে বাড়ি করতে যায়। পরে আমি কাওয়ালিপাড়া তদন্ত কেন্দ্রে অভিযোগ করলে পুলিশ প্রথমে কাজ বন্ধ করে দেয়। পরের দিন আবার কাজ শুরু করলে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে যায় বিষয়টি জানাতে। তখন এএসআই আতিকুর রহমান বলেন আপনি যান আমি আসতেছি। আমি বাড়ি আসার পরে দেখি আজিজরা আমাদের মারার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। তখন বারবার পুলিশকে ফোন করলেও পুলিশ আসেনি।
ধামরাই থানাধীন কাওয়ালিপাড়া তদন্ত কেন্দ্রের এসআই আশরাফুল ইসলাম জানান,এ বিষয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিএনএ/ ইমরান খান, ওজি