27 C
আবহাওয়া
১০:১৮ পূর্বাহ্ণ - এপ্রিল ২৭, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » স্কুলের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সেই প্রধান শিক্ষক গ্রেপ্তার

স্কুলের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সেই প্রধান শিক্ষক গ্রেপ্তার

রাজধানীতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ৩০৭

বিএনএ, সাভার : ঢাকার ধামরাইয়ের যাদবপুর বি এম স্কুল এন্ড কলেজের অর্থ আত্মসাতের মামলায় প্রধান শিক্ষক মো. আলী হায়দারকে গ্রেপ্তার করেছে ধামরাই থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ধামরাই সরকারী হাসপাতাল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

যাদবপুর বি এম স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক আকলিমা আক্তার বাদী হয়ে প্রধান শিক্ষক আলী হায়দারের নামে ধামরাই থানায় অর্থ আত্মসাতের একটি মামলা করেন।

এর আগে, সোমবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে যাদবপুর ইউনিয়নের ধানতাড়া বাজারে এলাকাবাসী স্কুল এন্ড কলেজের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় প্রধান শিক্ষক আলী হায়দারকে গণধোলাই দিয়ে হাসপাতালে পাঠান।

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, যাদবপুর বি এম  স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক মো. আলী হায়দার ও যাদবপুর ইউনিয়নের ধানতারা গ্রামের সুরজত আলীর ছেলে মো. লিটন মিয়া। প্রধান শিক্ষক আলী হায়দারের বাড়ী ভোলা জেলার ভিদুরিয়া গ্রামের মো. সোলাইমানের ছেলে। সে বর্তমানে ধানতারা বাজারে আলালের বাড়িতে ভাড়া থাকেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামি লিটন মিয়ার সহায়তায় প্রধান শিক্ষক আলী হায়দার ২০২২ সালে ৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে ফি বাবদ ৮ লক্ষ ৮৪ হাজার ৮ শত ৬০ টাকা আদায় করেন। কিন্তু আলী হায়দার ৫লক্ষ ৭২হাজার টাকার রিসিট দেখান। কিন্তু মামলার বাদী সহকারী প্রধান শিক্ষক আকলিমা আক্তার কেন্দ্র সচিব ও অন্য শিক্ষকদের সাথে নিয়ে ব্যাংকে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন প্রধান শিক্ষক আলী হায়দার ২লক্ষ টাকা জমা করেছেন। বাকি টাকা তিনি আত্মসাৎ করেছেন। স্কুল হতে বার বার বাকি টাকা ব্যাংকে জমা দেওয়ার জন্য তাগিদ দিলেও তিনি দিচ্ছি বলে কালক্ষেপণ করতে থাকেন। প্রতিষ্ঠানের টাকা না দিয়ে আত্মসাৎ করার চেষ্টা করেন তিনি। এছাড়াও স্কুল-কলেজে চাকরি দেয়ার নামে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

সোমবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ধানতারা বাজারে পাওনাদাররা আলী হায়দারকে গণধোলাই দেন। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য ধামরাই  উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আজ মঙ্গলবার সেখান থেকে তাকে গ্রেফতার করেন ধামরাই থানা পুলিশ।

এ বিষয়ে যাদবপুর স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক আকলিমা আক্তার বলেন, স্কুল এন্ড কলেজের টাকা আত্মসাৎ করায় তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলায় তাকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ২০১৭ সাল থেকে তিনি অনেক অনিয়ম দুর্নীতির সাথে জড়িত। নানা অভিযোগের কারণে তাকে প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। অব্যাহতির পরও স্কুলে পিয়ন নিয়োগের বিষয়ে তিনি একজনের কাছ থেকে ৮ লক্ষ টাকা নিয়েছেন।

ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মফিজুর রহমান মল্লিক বলেন, যাদবপুর বি এম স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক আলী হায়দারসহ দুজনের বিরুদ্ধে প্রতষ্ঠানের অর্থ আত্মসাতের মামলা হয়েছে।সেই মামলায় শিক্ষক আলী হায়দারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরেক আসামি লিটনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

বিএনএনিউজ/ইমরান খান/এইচ.এম।

Loading


শিরোনাম বিএনএ