বিএনএ, বিশ্বডেস্ক : তাবলিগ জামাতের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে সতর্কতা জারি করেছে সৌদি আরব। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার জুমার নামাজের খুতবায় এ সংগঠন সম্পর্কে মানুষকে সতর্ক করার নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির ইসলাম বিষয়ক মন্ত্রী ডা. আবদুল লতিফ আল শায়খ।
রোববার রাতে সৌদি আরবের ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রী বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, তাবলিগ জামাতের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। শুক্রবার নামাজের জামাতে এ বিষয়ে সমস্ত মানুষকে সচেতন করতে হবে। প্রতিটি মসজিদকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রী জানিয়েছেন, ইসলামের পাঠ দেওয়ার নামে বিশ্ব জুড়ে সন্ত্রাসের আবহ তৈরি করছে তাবলিগ। সে কারণেই তাদের সঙ্গে কোনোরকম সম্পর্ক রাখা যাবে না। দাওয়া গোষ্ঠীর বিরুদ্ধেও একই ফতোয়া জারি করা হয়েছে।
তাবলিগ জামাত ১৯২৬ সালে মুহাম্মদ ইলিয়াস কান্ধলভি কর্তৃক ভারতের মেওয়াতে দেওবন্দি আন্দোলনের একটি শাখা হিসেবে তাদের যাত্রা শুরু করে। সাধারণ মুসলিমদের মধ্যে ইসলামের নির্দেশনা পালনের উত্সাহ দেওয়াই এ সংগঠনটির প্রধান ও মৌলিক কাজ বলে মনে করেন এই সংগঠনের নেতারা। তাই বিভিন্ন দেশের তাবলিগ জামাত-সমর্থকরা সৌদি সরকারের এ সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছেন।
ভারতের দেওবন্দি আলেম শায়খ সালমান হুসাইনি নদভি এ বিষয়ে সৌদি সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, বর্তমান সৌদি সরকার যে আন্তর্জাতিক সাম্রাজ্যবাদী শক্তির এজেন্ট হয়ে মুসলিম বিশ্বের বিরুদ্ধে কাজ করছে, এমন নির্দেশনায় সেটি আরও স্পষ্ট হলো। তবে এ বিষয়ে ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি!
বাংলাদেশের আলেম মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভি বলেন, সৌদি সরকার শতবর্ষী একটি দিনি আন্দোলনকে এভাবে একতরফা নিন্দা ও নিরুত্সাহিত করতে পারেন না। তিনি বলেন, এ বিষয়ে মাওলানা মুহাম্মাদ রাবে হাসানি নদভি, মাওলানা সাইয়েদ আরশাদ মাদানি, মাওলানা মুফতি তাকি উসমানিসহ বিশ্বের সেরা আলেমদের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে।
বিএনএনিউজ/এইচ.এম।