সাভার প্রতিনিধি: ১৯৭১সালে স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন সময়ে পাকবাহিনীর সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে মোঃ আবুল হোসেন, মোঃ মেছের আলী ও ওয়াহেদ আলী নামের তিন মুক্তিযোদ্ধার প্রাণের বিনিময়ে ১৩ ডিসেম্বর ধামরাই হানাদার মুক্ত হয়।
ধামরাই উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়নের আমছিমুর, কুশুরা ইউনিয়নের পানকান্তা ও বালিয়া ইউনিয়নে যুদ্ধকালীন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বর্তমান সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব বেনজীর আহমদের নেতৃত্বে পাক বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধ হয়। এ যুদ্ধে ৬পাকবাহিনী ও তিন মুক্তিযোদ্ধা নিহত হয়। তিন পাকসেনা আত্মসমর্পণ করে।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও যুদ্ধকালীন সময়ের সর্বকনিষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সাখাওয়াত হোসেন সাকু বলেন, সেদিনের দিনটি ছিল অনেক ভয়াবহ ও বিভিষিকাময়। আজও সেদিনের কথা মনে হলে ভীত হয়ে উঠি। মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলহাজ্ব বেনজীর আহমদের নেতৃত্বে আমরা মুক্তিযোদ্ধারা জীবনের বাজি রেখে পাক বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নেই মাতৃভূমি রক্ষা করতে।
বর্তমান সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব বেনজীর আহমেদের সঠিক নেতৃত্বের কারণেই ১৯৭১ সালের ১৩ই ডিসেম্বর পাকবাহিনীদের ধামরাইয়ের মাটি থেকে মুক্ত করতে সক্ষম হই। তিনি আরও বলেন, যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনটি উদযাপন করা হবে। যখন দেখি কোন রাজাকার আলবদর আল সামস বাহিনীর সদস্যদের উত্তরসুরিরা নেতৃত্ব দিচ্ছে বা ক্ষমতার চেয়ার দখল করছে তখন খুবই কষ্ট হয়।
সম্মুখ যুদ্ধে বইন্যা গ্রামের মোঃ মেছের আলী, বিলভাউটিয়া গ্রামের মোঃ ওয়াহেদ আলী ও খড়ারচর গ্রামের মোঃ আবুল হোসেন শহীদ হন। তাদের জীবনের বিনিময়ে ধামরাই উপজেলা শত্রুমুক্ত হয়। এযুদ্ধে ৬পাকসেনা নিহত হয় ও তিনজন আত্মসমর্পণ করে।
ইমরান খান,জিএন