বিএনএ, কক্সবাজার : কক্সবাজারের মহেশখালী মাতারবাড়ীতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ৬৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে ভিড়েছে ইন্দোনেশিয়া থেকে আসা একটি জাহাজ। এ নিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির জন্য কয়লাবাহী ১১ টি জাহাজ এলো।
রোববার (১২ নভেম্বর) দুপুরে এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন ‘মাতারবাড়ী আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র’ প্রকল্পের পরিচালক আবুল কালাম আজাদ।
এর আগে গত ২৬ অক্টোবর ইন্দোনেশিয়া থেকে সাড়ে ৬৩ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে সর্বশেষ জাহাজটি এসেছিল।
বিদ্যুৎকেন্দ্রটির জন্য কয়লাবাহী প্রথম জাহাজটি এসেছিল গত ২৫ এপ্রিল।
আবুল কালাম আজাদ জানান, গত ১ নভেম্বর ইন্দোনেশিয়ার একটি সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লাবাহী একটি জাহাজ মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উদ্দ্যেশে রওনা দেয়। জাহাজটি শনিবার রাতে মাতারবাড়ী বিদযুৎকেন্দ্র সংলগ্ন সাগরে পৌঁছায়। রোববার দুপুরে জাহাজটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের জেটিঘাটে ভিড়ে। দুপুরের পর জাহাজটি থেকে কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে নামানো হচ্ছে। জাহাজটির সমস্ত কয়লা নামাতে প্রায় সপ্তাহখানেকের মত সময় লাগতে পারে। “
বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রকল্প পরিচালক জানান, “ আগে থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রে ২ লাখ মেট্রিক টন কয়লা মজুদ রয়েছে। মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন দুইটি ইউনিট রয়েছে। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরীক্ষণমূলক চালু হওয়া প্রথম ইউনিটটির বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। কোন ধরণের ত্রুটি দেখা না দিলে চালু হওয়া প্রথম ইউনিটটিতে দৈনিক ৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লার চাহিদা রয়েছে। আর ত্রুটি দেখা দিলে উৎপাদনে কাঁচামালের চাহিদা কিছুটা বাড়ে। এতে কয়লার চাহিদা ৫০০ থেকে ১০০০ মেট্রিক টন পর্যন্ত বাড়ে। “
আবু কালাম আজাদ জানান, নতুন করে আসা ৬৫ হাজার মেট্রিকটনসহ বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে মজুদ থাকা কয়লার পরিমান ২ লাখ ৬৫ মেট্রিক টন। এতে দৈনিক গড়ে ৫ হাজার মেট্রিক টনের চাহিদা হিসাবে ৫৩ দিনের বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাঁচামালের যোগান দেওয়া সম্ভব হবে।
বিএনএনিউজ/এইচ এম ফরিদুল আলম শাহীন/ এইচ.এম।