31 C
আবহাওয়া
৭:৩৩ অপরাহ্ণ - অক্টোবর ১৬, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » কুতুবদিয়ায় এলপিজিবাহী জাহাজের আগুন নিয়ন্ত্রণে

কুতুবদিয়ায় এলপিজিবাহী জাহাজের আগুন নিয়ন্ত্রণে


বিএনএ, কক্সবাজার:  বঙ্গোপসাগরে কুতুবদিয়া উপকূলের পশ্চিমে বহির্নোঙর এলাকায় শনিবার রাত পৌনে একটার দিকে ‘সোফিয়া’ নামের লাইটারেজ জাহাজে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ১২ ঘণ্টা চেষ্টার পর রোববার দুপুর ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে, তবে জাহাজটির ভেতরে পুনরায় অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি এড়াতে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর সদস্যরা কাজ চালাচ্ছেন।  জাহাজে থাকা ৩১ জন ক্রুকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। আগুনে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। রাতে ঘটনার পরপরই খবর পেয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ এবং ক্রুদের উদ্ধারকাজ শুরু করে নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের কয়েকটি জাহাজ। উদ্ধারকাজে অংশ নেয় মেটাল শার্ক ও চারটি অগ্নিনির্বাপণী ও উদ্ধারকারী দল।

বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া উপকূলের পশ্চিমে বহির্নোঙর এলাকায় শনিবার রাত পৌনে একটার দিকে আগুনের ঘটনা ঘটে বলে জানান কোস্ট গার্ড পূর্ব জোনের গণমাধ্যম কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি। আগুনের সূত্রপাত কীভাবে ঘটেছে, তা নিশ্চিত করতে না পারলেও হতাহতের কোনো ঘটনা নেই বলে জানান তিনি।

কোস্ট গার্ডের এ কর্মকর্তা জানান, জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে যাচ্ছিল, তবে কোন দেশ থেকে এলপিজি বহন করে আনছিল, তা নিশ্চিত নন তিনি।

মুনিফ তকি বলেন, “এলপিজি বহনকারী ‘সোফিয়া’ নামের লাইটারেজ জাহাজটি কুতুবদিয়া উপকূলের পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরে নোঙর করেছিল। শনিবার মধ্যরাতে জাহাজটিতে আকস্মিক আগুন লেগে যায়। এতে আগুন ভয়াবহ রূপ নিয়ে ছড়িয়ে পড়ে।

“কুতুবদিয়ার উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পৌঁছায় নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের কয়েকটি জাহাজ। দুর্ঘটনা কবলিত জাহাজটির আগুন নিয়ন্ত্রণ ও ক্রুদের উদ্ধারকাজ চালায় কোস্ট গার্ডের দুটি জাহাজ এবং নৌবাহিনীর পাঁচটি অত্যাধুনিক জাহাজ।”

প্রায় ১২ ঘণ্টা চেষ্টার পর রোববার দুপুর ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে, তবে জাহাজটির ভেতরে পুনরায় অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি এড়াতে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর সদস্যরা কাজ চালাচ্ছেন।

কোস্ট গার্ডের গণমাধ্যম কর্মকর্তা বলেন, ‘জাহাজটিতে মোট ৩১ জন ক্রু ছিল। তাদের সবাইকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। ‘তাদের উদ্ধারের পর প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চট্টগ্রামের হোটেল আগ্রাবাদে রাখা হয়েছে।’

এটি নিছক দুর্ঘটনা নাকি কোনো ধরনের নাশকতা, তা জানতে কোস্ট গার্ডসহ সংশ্লিষ্টরা খোঁজখবর নিচ্ছে বলে জানান কোষ্টগার্ডের এ কর্মকর্তা।

বিএনএ/ এইচ এম ফরিদুল আলম শাহীন, ওজি/এইচমুন্নী

Loading


শিরোনাম বিএনএ