বিএনএ,ঢাকা: সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নিয়োগ পাওয়া চার বিচারপতি শপথ নিয়েছেন। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে তাদের শপথ পড়ান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
শপথ নেওয়া চারজন হলেন– বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী, বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল করিম, বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমেদ ভূঞা।
এর আগে, সোমবার (১২ আগস্ট) রাতে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে চারজনকে আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। পরদিন দুপুরে তাকে শপথ পড়ান রাষ্ট্রপতি।
বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী
প্রয়াত বিচারপতি এ এফ এম আব্দুর রহমান চৌধুরীর ছেলে জুবায়ের রহমান চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ও এলএলএম ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে যুক্তরাজ্য থেকেও আন্তর্জাতিক আইনে এলএলএম ডিগ্রি নেন। ১৯৮৫ সালে তিনি জেলা আদালতে ও ১৯৮৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি এবং দুই বছর পরে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল করিম
সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল করিম রসায়নে স্নাতক, আইনে এলএলবি ও এলএলএম ডিগ্রি এবং পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮৬ সালে তিনি জেলা আদালতে, ১৯৮৮ সালে হাইকোর্ট বিভাগে এবং ১৯৯৬ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ২০০৪ সালের ২৩ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি এবং দুই বছর পরে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
বিচারপতি মো. রেজাউল হক
মো. রেজাউল হক এম এ ও এলএলবি ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৮৮ সালে তিনি জেলা আদালতে ও ১৯৯০ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ২০০৪ সালের ২৩ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি এবং দুই বছর পরে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক
এস এম এমদাদুল হক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ও এলএলএম ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে ১৯৯০ সালে তিনি জেলা আদালতে ও ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ২০০৪ সালের ২৩ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি এবং দুই বছর পরে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
বিএনএনিউজ/রেহানা, ওজি/হাসনা