বিএনএ, ঢাকা: রেলওয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদসহ বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসে পিএসসি’র দুইজন উপ-পরিচালক ও একজন সহকারী পরিচালক জড়িত। তারা হচ্ছেন, উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আবু জাফর ও জাহাঙ্গীর আলম এবং সহকারী পরিচালক হলেন মোহাম্মদ আলমগীর কবির। গত ৭ এপ্রিল পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তাদের গ্রেপ্তার করেছেন। তাঁদের মধ্যে উপ-পরিচালক আবু জাফর ও সহকারি পরিচালক আলমগীর কবিরের কোচিং ব্যবসা আছে। সরকারি চাকুরিতে থাকা অবস্থায় ব্যবসায় জড়িত থাকা যায়না। চাকুরিবিধিতে তা উল্লেখ থাকলেও পিএসসি’র উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আবু জাফর ও সহকারি পরিচালক আলমগীর কবির সেই নিয়মের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করেছেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, উপ-পরিচালক মো. আবু জাফর ও সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর কবির দুজনই চাকুরির প্রস্তুতির কোচিং ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। সেখানে যারা কোচিং করতেন তাদের কাছে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে দেওয়া হতো প্রশ্ন ও উত্তর। এটি ছিল ওপেনসিক্রেট।
বিষয়টি পিএসসির অনেক কর্মকর্তা ও কর্মচারীই জানেন। ঢাকার মালিবাগের জ্যোতি কমার্শিয়াল চাকুরির কোচিং সেন্টারের পরিচালক আবু জাফর। কোচিং সেন্টারটি তাঁর স্ত্রী জ্যোতির নামে। পিএসসির প্রশাসন শাখা থেকে জানা গেছে, কয়েক বছর পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত ছিলেন আবু জাফর। তিনি কোচিং সেন্টারে যুক্ত আর নানা নেতিবাচক আলোচনায় ছিলেন বলে তিনবছর তাঁর পদোন্নতি আটকে ছিল। গোয়েন্দা প্রতিবেদন নেতিবাচক আসার কারণে পদোন্নতি আটকে ছিল বলে জানায় পিএসসির প্রশাসন শাখা।
এ ছাড়া মো. আলমগীর কবিরের কোচিং সেন্টার আছে ঢাকার মিরপুরে। পিএসসির এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আলমগীর কবির আগে আজিমপুরে থাকতেন। কোচিং ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হয়ে মিরপুরে বাসা নেন। পিএসসিতে থাকার পরও এমন কোচিং সেন্টারে তাঁরা থাকলেও এ জন্য সরাসরি তাঁদের কোনো জবাবদিহিতার আওতায় আনা হয়নি। এ বিষয়ে পিএসসির চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন বলেছেন, ‘এই দুজনের চাকরির প্রস্তুতির কোচিং ব্যবসা আছে, তা এবারে অভিযোগ আসার পর জানতে পেরেছি। আগে জানতে পারলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া যেত।’
বিএনএনিউজ/ শামীমা চৌধুরী শাম্মী/ বিএম/এইচমুন্নী