বিএনএ, রাঙামাটি: ঢাকার বংশালে মিরনজিল্লা কলোনিতে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে হরিজন সম্প্রদায়ের বাসিন্দাদের ওপর দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আউয়াল হোসেনের নেতৃত্বে হামলা, বাড়িঘর, মন্দির ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুরের অভিযোগের প্রতিবাদে রাঙামাটিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার( ১৩ জুলাই) বিকেলে সনাতন যুব পরিষদ রাঙামাটি জেলার উদ্যোগে এবং বিভিন্ন সনাতনী সংগঠনের সহযোগিতায় এই মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
রাঙামাটি পৌরসভা প্রাঙ্গণ হতে মিছিলটি শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে মিলিত হয়।
সনাতন যুব পরিষদ রাঙামাটি জেলার সভাপতি অজিত শীলের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সনাতন যুব পরিষদ রাঙামাটি জেলার সাধারণ সম্পাদক রাজু শীল, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি রাঙামাটি জেলার সাধারণ সম্পাদক সৈকত রঞ্জন চৌধুরী, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ রাঙামাটি জেলার সভাপতি অরুপ মুৎসুদ্দী ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পঞ্চানন ভট্টাচার্য, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু ছাত্র মহাজোট রাঙামাটি জেলার সভাপতি টুটুল দে, সনাতন যুব পরিষদ রাঙামাটি পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক ইভান পালিত, সদর উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি রুপন দাশ, সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ-সভাপতি সাত্ত্বনা দাশ, রাঙামাটি পুরোহিত কল্যাণ সমবায় সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক রণধীর চক্রবর্ত্তী, আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) রাঙামাটি জেলার সাধারণ সম্পাদক ইষ্ট দেব নিতাই দাস প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, হরিজন সম্প্রদায় এই দেশে চারশ বছরেরও বেশি সময় ধরে বসবাস করে আসছে। যারা শহর ও দেশকে পরিচ্ছন্ন রাখে আজ তাদেরই এই দেশে ঠাঁই মিলছে না। প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে একজন কাউন্সিলরের নেতৃত্বে এই হামলা ন্যাক্কারজনক।
বক্তারা আরও বলেন, অতীতে বাংলাদেশে অসংখ্যা বার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলা, মন্দির, বাড়িঘর ভাঙচুর, জ্বালাও-পোড়াওসহ নানান অত্যাচার করা হয়েছে। কিন্তু কোন ঘটনার সুষ্ঠু বিচার আজ পর্যন্ত হয়নি। বিচারহীনতার এই সংস্কৃতি সংখ্যালঘু নির্যাতনের মাত্রাকে ত্বরান্বিত করছে। হরিজন সম্প্রদায়ের ওপর হামলার নেতৃত্ব দানকারী কাউন্সিলর আউয়াল হোসেনসহ হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান বক্তারা।
বিএনএ/ কাইমুল ইসলাম ছোটন,ওজি/এইচমুন্নী