26 C
আবহাওয়া
৭:৩৮ পূর্বাহ্ণ - এপ্রিল ১৪, ২০২৫
Bnanews24.com
Home » আসামির খাবারের ১৩ লাখ ৩১ হাজার টাকা আত্মসাৎ কামরুলের

আসামির খাবারের ১৩ লাখ ৩১ হাজার টাকা আত্মসাৎ কামরুলের


বিএনএ, চট্টগ্রাম: মোহাম্মদ কামরুল হাসান। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার। চাকুরি জীবনে ৩৫ বছর ধরে ঘুষ খেয়ে নিজেকে বেশ মোটা তাজা করেছেন। চাকুরির শেষ সীমানায় এসে আরও সতেজ ও তাজা থাকার জন্য আসামিদের দুপুরের সব খাবারই খেয়ে নিয়েছেন। অর্থাৎ আত্মসাৎ করেছেন। কিন্তু হজম করতে পারেননি। ফলশ্রুতিতে এখন চাকুরি হারানোর উপক্রম হয়েছে। সাম্প্রতিক আলোচিত-সমালোচিত সিএমপির সেই এডিসি কামরুল হাসান।

অনুসন্ধানে জানা যায়, কারাগার ও থানা হাজত থেকে যে সব আসামিকে বিচারের জন্য আনা হতো, তাদের দুপুরে খাবারের ব্যবস্থা করে থাকে সিএমপি। কিন্তু কামরুল হাসান প্রসিকিউশনের দায়িত্বে থাকাকালে আসামিদের দুপুরে খাবার দিতেন না। কিন্তু প্রতিদিনই বিল করতেন। এইভাবে এডিসি মোহাম্মদ কামরুল হাসান চট্টগ্রাম আদালতে প্রসিকিউশনের দায়িত্ব পালনকালে হাজতখানার আসামিদের দুপুরের খাবারের ১৩ লাখ ৩১ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর সিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তদন্ত করে তার সত্যতা পায়। তদন্ত শেষে এডিসি কামরুল হাসানের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশ সদর দপ্তরে সুপারিশ পাঠিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ।

কামরুল হাসান বর্তমানে সিএমপির পিওএম বিভাগে এডিসি হিসেবে সংযুক্ত আছেন। এর আগে তিনি মেট্রো কোর্টে সিএমপির এডিসি (প্রসিকিউশন) এবং এডিসি (ক্রাইম) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ কামরুল হাসান ১৯৮৯ সালের ১০ই জানুয়ারি উপ-পরিদর্শক হিসেবে পুলিশে যোগ দেন। মোহাম্মদ কামরুল হাসানের বাড়ি নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলায়। ইন্সপেক্টর পদে পদোন্নতি পেয়ে চট্টগ্রামের ৮টি থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বপালন করেন। মূলত ওই সময়েই বিপুল বিত্ত-বৈভবের মালিক হয়ে ওঠেন কামরুল। চট্টগ্রাম ও সাভারে বাড়ি ফ্ল্যাট, জমি এবং গাড়ি, সঞ্চয়পত্র, এফডিআর ও নগদ কোটি কোটি টাকার পাশাপাশি ৫টি লাইটারেজ জাহাজও আছে।

এডিসি কামরুল নিজের ও তার স্ত্রীর নামে বে- নামে শত কোটি টাকার সম্পদের পাহাড় গড়লেও দুর্নীতি দমন কমিশন তাদের মাত্র ১৯ কোটি টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির সন্ধান পেয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ৮ জুলাই সিএমপির এডিসি মোহাম্মদ কামরুল হাসান ও তার স্ত্রী সায়মা বেগমের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এই অবস্থায় আদালতের জেলহাজতে থাকা আসামিদের খাবারের টাকা আত্মাসাৎ করার ঘটনার সত্যতা পায় সিএমপির তদন্ত কমিটি। তারই পরিপ্রেক্ষিতে সিএমপি, পুলিশ সদর দপ্তরে এডিসি কামরুল হাসানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, পুলিশ বাহিনী থেকে এডিসি কামরুল হাসান বরখাস্ত হওয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।

বিএনএ/এমএফ/হাসনা

Loading


শিরোনাম বিএনএ