আধুনিক বিশ্বে প্রতিনিয়ত যেমন আধুনিক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে, তেমনি প্রযুক্তির সহায়তায় এসেছে তার স্মার্ট সমাধান। এমনই এক স্মার্ট সমাধানের নাম রেফ্রিজারেটর। এটি আমাদের কর্মব্যস্ত জীবনে প্রতিদিন বাজারে যাওয়ার ধকল থেকে মুক্তি দিয়েছে। গরমে তৃষ্ণা মেটাতে ঠাণ্ডা পানি বা শরবত খেতে, হঠাৎ বাসায় মেহমান এলে ঝটপট খাবার বের করে পরিবেশন করতে কিংবা অনেকদিনের বাজার একসাথে এনে বহুদিন মজুত রাখতে রেফ্রিজারেটরের জুড়ি নেই। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে এসব আধুনিক রেফ্রিজারেটরগুলোতে দীর্ঘদিন পর্যন্ত খাবার থাকে টাটকা এবং এতে স্বাদেরও পরিবর্তন হয় না।
ক’দিন পরেই আসছে পবিত্র ঈদুল আযহা। মুসলমান ধর্মালম্বীরা এ সময় সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশ্যে পশু কোরবানি দেন। এসব পশুর গোস্ত দীর্ঘদিন টাটকা ও সতেজ রাখতে এ ঈদে বেড়ে যায় রেফ্রিজারেটরের চাহিদা। ক্রেতাদের এসব চাহিদা মেটাতে হোম অ্যাপ্লায়েন্স প্রতিষ্ঠানগুলো বাজারে এনেছে বিভিন্ন ধরণের রেফ্রিজারেটর। শীর্ষস্থানীয় হোম অ্যাপ্লায়েন্স নির্মাতা প্রতিষ্ঠান- স্যামসাং কনজ্যুমার ইলেক্ট্রনিকস বাংলাদেশ’ও ক্রেতাদের জন্য বিভিন্ন মডেলের রেফ্রিজারেটর এনেছে বাজারে। ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন ফিচার ও ডিজাইনের আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন স্যামসাং এর রেফ্রিজারেটরগুলো ইতোমধ্যে মানুষের নজর কেড়ে নিয়েছে।
অনেক সময় দেখা যায় ফ্রিজে কোনো খাবার রাখলে তা বরফে জমে যায়, ফলে ফ্রিজ থেকে সে খাবার বের করতে অনেক কষ্ট করতে হয়। স্যামসাং এর নন-ফ্রস্ট প্রযুক্তির ফ্রিজগুলো আপনাকে এ সমস্যায় পড়তে দিবেনা। এই প্রযুক্তি খুব দ্রুত ফ্রিজের ভিতরকে শীতল করে সব জায়গায় তাপমাত্রা সমান রাখে এবং খাবার টাটকা রেখে ভিতরে বরফ জমতে দেয় না।
ফ্রিজগুলোর ডিজিটাল ইনিভার্টার প্রযুক্তি স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রয়োজন অনুযায়ী ভিতরে তাপমাত্রা বাড়ায় এবং কমায়। ফলে এতে বিদ্যুৎ খরচ কমে যায়। এছাড়াও এটি ফ্রিজের অপ্রত্যাশিত শব্দ হ্রাস করে এবং দীর্ঘস্থায়ী পারফরমেন্স নিশ্চিত করে।
স্যামসাং রেফ্রিজারেটরের অল-রাউন্ড কুলিং প্রযুক্তি এর ভিতরের সব জায়গা সমানভাবে শীতল রেখে খাবারকে দীর্ঘদিন টাটকা রাখে। এটি সার্বক্ষণিক ফ্রিজের তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণ করে এবং বিভিন্ন ভেন্টের মধ্য দিয়ে ঠাণ্ডা বাতাস প্রবাহিত করে।
রেফ্রিজারেটরের ভিতরে তাৎক্ষণিক ঠাণ্ডা করতে বা বরফ করতে আছে পাওয়ার কুল/পাওয়ার ফ্রিজ ফিচার। বাটনে চাপ দেয়ার সাথে সাথেই পাওয়ার কুল দ্রুত সময়ের মধ্যে বিভিন্ন পানীয় বা খাবারকে ঠান্ডা করে দেয় এবং পাওয়ার ফ্রিজ মুহুর্তেই ঠাণ্ডা বাতাস ছড়িয়ে মাছ, মাংসের মত খাবারকে সতেজ রাখবে।
আধুনিক যুগে মানুষ এখন শুধু সুবিধা দেখেই রেফ্রিজারেটর কিনেই না, পণ্যের ডিজাইনও এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। রুচিশীল মানুষের নজর কাড়তে স্যামসাং’র রেফ্রিজারেটরগুলোকে ডিজাইন করা হয়েছে স্লিম, দৃষ্টিনন্দন ও অসাধারণ নকশায়। ফ্রিজের ভিতরে যেমন শাক-সবজি, মাছ-মাংস, ডিমসহ খাবার রাখার আলাদা ক্যাবিনেট আছে, এর বাইরেও ঘরের শোভা বৃদ্ধির জন্য আছে চমৎকার ডিজাইন। অসাধারণ ফিচার ও চমৎকার ডিজাইনের ফ্রিজগুলো নো-ফ্রস্ট, সাইড-বাই-সাইড, আপরাইট ফ্রিজার, টুইন কুলিংসহ বিভিন্ন মডেলে পাওয়া যায়।
পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে স্যামসাং নিয়ে এসেছে দুর্দান্ত ঈদ ক্যাম্পেইন ‘বিগ অফার ঈদ জমবে এবার’ ক্যাম্পেইন। এই ক্যাম্পেইনে ক্রেতারা নির্দিষ্ট রেফ্রিজারেটর কিনলেই পাবেন ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক অফার। এছাড়াও, ক্রেতারা রেফ্রিজারেটরের এক্সচেঞ্জ অফারে ২৩ হাজার টাকা পর্যন্ত ছাড় উপভোগ করতে পারবেন। ক্যাম্পেইনটি চলবে আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত।
স্যামসাং এর রেফ্রিজারেটরে আছে ১০ বছরের কম্প্রেসর ওয়্যারেন্টি। অনলাইনে অর্ডার করলে ক্রেতারা পাবেন ফ্রি হোম ডেলিভারি ও সহ মাসিক কিস্তির সুবিধা। এছাড়াও, বিভিন্ন ব্যাংকের কার্ড ও মোবাইল ব্যাংকি’এর মাধ্যমে অনলাইনেও পেমেন্ট করার সুবিধা রয়েছে।
বর্তমানের বৈশ্বিক করোনা মহামারিতে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মানুষ এখন মাসের বাজার একসাথেই নিয়ে আসে। ফলে, রেফ্রিজারেটরের প্রয়োজনীয়তাও আরও বেড়েছে; পাশাপাশি যোগ হয়েছে ঈদের আমেজ। তাই, ক্রেতাদের জন্য এখন রেফ্রিজারেটর কেনার উপযুক্ত সময়। এমন উপযুক্ত সময়ে, ঈদ আনন্দ দ্বিগুণ করতে স্যামসাং’র ঈদ ক্যাম্পেইনের অফার গ্রহণ করে আপনিও ঘরে নিয়ে আসতে পারেন আপনার পছন্দের রেফ্রিজারেটর।
স্যামসাং
রূপান্তরমূলক ধারণা ও প্রযুক্তির মাধ্যমে স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স বিশ্বব্যাপী অনুপ্রেরণাদান সহ ভবিষ্যতের আকৃতিদানে কাজ করছে। প্রতিষ্ঠানটি টিভি, স্মার্টফোন, ওয়্যারেবল ডিভাইস, ট্যাবলেট, ক্যামেরা, ডিজিটাল অ্যাপ্লায়েন্স, মেডিকেল ইকুইপমেন্ট, নেটওয়ার্ক সিস্টেম, সেমিকন্ডাক্টর এবং এলইডি সল্যুশনের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী ভূমিকা রেখেছে। এ সংক্রান্ত প্রাসঙ্গিক খবরের জন্য অনুগ্রহ করে ভিজিট করুন: news.samsung.com
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন:
ওয়েবসাইট- www.samsung.com
ফেসবুক (স্থানীয়)- www.facebook.com/SamsungBangladesh