বিএনএ, ময়মনসিংহ: বর ও কনের র্দীঘ ৫ বছরের প্রেমের সম্পর্ক। বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার ধর্ষণ করার ঘটনাও ঘটে। এই ঘটনা জানার পর দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক হয়। কিন্তু বর নিখোঁজ বলে বিয়ে করতে আসেনি। এই ঘটনায় কনে ক্ষিপ্ত হয়ে বরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন। পরে পুলিশ দুই পক্ষকে এক করে বিয়ের ব্যবস্থা করেন। এই ঘটনার পর প্রশংসায় ভাসছে পুলিশ।
সোমবার (১৩ জুন) দিবাগত মধ্যরাতে ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের দেউলডাংরা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদুজ্জামান রাশেদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, উপজেলার জাহাঙ্গীপুর ইউনিয়নের রায়পাশা গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে জুবায়ের আহমেদের (২৩) সাথে ৫ বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল কনের (২২)। বিয়য়টি দুই পরিবারে জানাজানি হলে গত ১০ জুন বিয়ের দিনক্ষণ নির্ধারণ করেন। এই উপলক্ষে কনে পক্ষ ৪০০ মানুষের খাওয়া দাওয়ার আয়োজন গেইট করে বিয়ের প্রস্তুতি নেন। এই লক্ষ্যে কনে বঁধুবেশে বিয়ের পিঁড়িতেও বসেন। কিন্তু ওই দিন গড়িয়ে সন্ধ্যা হলেও বর বিয়ে করতে আসেনি। পরে বরের মা কনের বাড়িতে খবর নিয়ে আসেন জুবায়ের নিখোঁজ। তাই বর পক্ষ আসতে পারেনি।
এই ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওই দিন রাতেই জুবায়েরকে প্রধান অভিযুক্ত করে নান্দাইল থানায় ধর্ষণের অভিযোগ করেন কনে। ওই অভিযোগে জুবায়ের তার মা বাবাসহ আরও ৬ জনকে অভিযুক্ত করেন।
ওসি রাশেদুজ্জামান বলেন, অভিযোগের পরদিন পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দুই পক্ষকে এক সাথে বসিয়ে বিষয়টি মিমাংসা করে সোমবার বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক করা হয়। পরে ওই দিন মধ্যরাতে পুলিশের সহায়তায় বিয়ে সম্পন্ন করে ছেলের হাতে তুলে দেন।
বিএনএনিউজ/হামিমুর রহমান,বিএম