বিএনএ ডেস্ক, ঢাকা: চীনের উপহার দেওয়া সিনোফার্মের ছয় লাখ ডোজ করোনা টিকা নিয়ে দেশের উদ্দেশে রওনা হয়েছে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর দুটি বিমান। রোববার (১৩ জুন) সকাল ৯টার দিকে নিজের ফেইসবুক আইডিতে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে ঢাকায় চীনা দূতাবাসের উপপ্রধান হুয়ালং ইয়ান এমনটাই জানিয়েছেন। তিনটি ছবি দিয়ে তিনি লিখেন, ‘উড্ডয়নের জন্য প্রস্তুত বাংলাদেশ আর্মির দুটি সি১৩০জে।’
এর আগে শনিবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিমান বাহিনীর দুটি সি১৩০জে পরিবহন বিমান চীন থেকে টিকা আনার জন্য রাতে ঢাকা ত্যাগ করবে।
প্রসঙ্গত, ১২ মে চীনের উপহার হিসেবে দেওয়া সিনোফার্মের পাঁচ লাখ ডোজ টিকা বাংলাদেশে আসে। ওই টিকাও দেশে আনে বিমান বাহিনীর এই পরিবহন বিমান। দেশে গত ৭ ফেব্রুয়ারি দেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত এ টিকা দেশে আনার বিষয়ে গত নভেম্বর বাংলাদেশ সরকার, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মার সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়। অগ্রিম টাকাও পরিশোধ করে বাংলাদেশ।
চুক্তি অনুসারে ৩ কোটি ডোজের প্রতিমাসে ৫০ লাখ ডোজ করে বাংলাদেশের পাওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত ৭০ লাখ টিকা এসেছে। নরেন্দ্র মোদি সরকার টিকা রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিলে সরবরাহ বন্ধ করে দেয় সেরাম। শেষ পর্যন্ত টিকা সংকটে বন্ধ হয়ে যায় দেশের টিকাদান কর্মসূচি।
কেনা টিকার জন্য ভারতের সর্বোচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ করেও ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ। চুক্তিতে দায়মুক্তি দিয়ে রাখায় সেরাম ইনস্টিটিউটের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণেরও সুযোগ নেই। বিকল্প উৎস না রাখায় সমালোচনার মুখে সরকার টিকার জন্য দ্বারস্থ হয় যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও রাশিয়ার। চীনের সিনোফার্ম ও সিনোভ্যাক, রাশিয়ার স্পুৎনিক-ভি আর যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজারের টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ঔষধ প্রশাসন।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ