27.5 C
আবহাওয়া
১১:৫০ অপরাহ্ণ - মে ১৬, ২০২৫
Bnanews24.com
Home » পূর্ণিমাতেই ঘূর্ণিঝড়, আঘাত হানতে পারে কক্সবাজার!

পূর্ণিমাতেই ঘূর্ণিঝড়, আঘাত হানতে পারে কক্সবাজার!


বিএনএ ডেস্ক : দেশে টানা একমাসের লম্বা সময় ধরে তীব্র তাপপ্রবাহের পর চলতি মাসের শুরু থেকে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। এতে কেটেছে গরমের দাপট, ফিরেছে স্বস্তি । বৃষ্টিপাতের প্রভাবে গত কয়েকদিনে দেশের কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছে। বাতাসে আর্দ্রতা হ্রাস পেয়েছে। এ মাসে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকবে। তবে তা এপ্রিলের মতো অবস্থায় যাবে না।

এ দিকে চলমান কাল বৈশাখীর তান্ডবে দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে ফসলের। বিশেষ করে আম ও লিচুর। কোথাও কোথাও গাছপালা ও বিদ্যুৎ খুঁটি উপড়ে গেছে। বেড়েছে জনদুর্ভোগ।

আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছে এই রোদ এই বৃষ্টি চলতে পারে আরও কয়েকদিন। অতঃপর বৃষ্টিপ্রবণতা শিথিল হয়ে বাড়তে থাকবে তাপমাত্রা। তবে তাপপ্রবাহ এপ্রিল মাসের চেয়ে খানিকটা কম থাকবে। ইত্যবসরে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হতে পারে লঘুচাপ থেকে নিম্নচাপের।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান জানিয়েছেন, চলতি মে মাসে বঙ্গোপসাগরে ১ থেকে ২টি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে যার মধ্যে মাসের দ্বিতীয়ার্ধে একটি নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।

আমেরিকা ও ইউরোপিয়ানের আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। সম্ভাব্য এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম হবে ‘রিমাল’। এটি আরবী শব্দ। যার অর্থ বালু। নামটি দিয়েছে ওমান।

আগামী ২০ থেকে ২৭ মে’র মধ্যে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়টি সরাসরি বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উপকূল দিয়ে স্থলভাগে উঠে আঘাত হানতে পারে।

কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয় মূলত বর্ষা মৌসুম শুরুর পূর্বে ও বর্ষা মৌসুম শেষ হয়ে যাওয়ার পরে। বাংলাদেশের ওপর মৌসুমী বায়ু প্রবাহ শুরু হয় সাধারণত ৩০ মে’র পর থেকে ৭ জুনের মধ্যে। বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির জন্য যথেষ্ট পরিমাণে শক্তি জমা হয়েছে। সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি যেহেতু ২০ মে’র পরে সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, তাই এটি খুবই শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে। ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি ও শক্তিশালী হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় চারটি প্রধান উপাদানের মধ্যে ইতোমধ্যে ৩টি উপাদানের উপস্থিতি রয়েছে মধ্য ও দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে।

এই আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ বিভিন্ন আবহাওয়া মডেল বিশ্লেষণ করে জানান, ঘূর্নিঝড়টি সৃষ্টির সম্ভাব্য সময় ১৯-২১ মে। পূর্ণিমা শুরু ২৩ মে রাত থেকে । ‘রিমাল’ নামের এই ঝড়টি সেই সময় প্রবল শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে । ২৩-২৭ মের মধ্যে স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে। আঘাতের সম্ভাব্য স্থান ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার উপকূলবর্তী এলাকা। এ সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৫০ -১৮০ কিলোমিটার, পূর্ব উপকূলে আঘাত করলে ঘণ্টায় ১৭০-২০০ কিলোমিটার।

বিএনএ/ শামীমা চৌধুরী শাম্মী,ওজি/ হাসনা

Loading


শিরোনাম বিএনএ