তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারসহ নানা বিষয়ে মেয়েদের চেয়ে ছেলেরা বেশী স্বাধীন। যখন তখন ঘর থেকে বের হয়ে যাওয়া, আড্ডা, বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের সুযোগ বেশি থাকে ছেলেদের । বিশেষ করে ছেলেরা মোবাইল ব্যবহারে এগিয়ে রয়েছে। এই ক্ষেত্রে অভিভাবকদের শাসন বারণের তোয়াক্কা করে না। আর তার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায়। এতে ছেলেরা পিছিয়ে পড়েছে। ছেলেদের পেছনে ফেলে এগিয়ে গেছে মেয়েরা।
ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে গড় পাসের হার এবং জিপিএ ফাইভ প্রাপ্তির দিক বিবেচনায় ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা বেশ এগিয়ে রয়েছে।
রোববার প্রকাশিত ফলে দেখা যায়, ছাত্রীদের পাসের হার ৮৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ, ছাত্রদের পাসের হার ৮১ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
অন্যদিকে জিপিএ ফাইভ প্রাপ্তিতে অনেক পিছিয়ে রয়েছে ছেলেরা। ফলাফলে দেখা গেছে ১ লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন; এর মধ্যে ৯৮ হাজার ৭৭৬ জনই মেয়ে; অন্যদিকে ৮৩ হাজার ৩৫৩ জন ছেলে এ বছর জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন।
শিক্ষায় কেন ছেলেরা পিছিয়ে সেটির কারণ খুঁজে বের করতে হবে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১২ মে রোববার সকালে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেন শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানরা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
এসময় প্রধানমন্ত্রীও এ বিষয়ে কথা বলেন। শিক্ষায় ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের অংশগ্রহণ বেশি, ফলে মেয়েরা এগিয়ে, এটি যেমন সুখবর, একইভাবে কেন ছেলেরা পিছিয়ে সেটির কারণ খুঁজে বের করতে হবে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গণভবনে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানদের তিনি বলেন, ‘যার যার বোর্ডে আপনারা খবর নেন, কী কারণে ছেলেরা পিছিয়ে। ইদানীং কিশোর গ্যাং দেখছি। এগুলো তো আমরা দেখতে চাই না। সেখান থেকে তাদের বিরত করা, একটা সুষ্ঠু পরিবেশে নিয়ে আসা আমাদের দায়িত্ব। আমরা বিবিএসকেও বলবো দেখতে।’
প্রকাশিত এ ফলাফলের মধ্যে রয়েছে ৯টি সাধারণ, মাদরাসা ও কারিগরি বোর্ড। যশোর বোর্ডে পাসের হার ৯২ দশমিক ৩২ শতাংশ। আর সর্বনিম্ন সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৭৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
এ ছাড়াও ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৮৯ দশমিক ৩২ শতাংশ, রাজশাহীতে ৮৯ দশমিক ২৫ শতাংশ, কুমিল্লায় ৭৯ দশমিক ২৩ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ, বরিশালে ৮৯ দশমিক ১৩ শতাংশ, দিনাজপুরে ৭৮ দশমিক ৪০ শতাংশ ও ময়মনসিংহে ৮৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ।
বিএনএনিউজ২৪ডটকম/ হাসনা