বিএনএ, সাভার : ঢাকার ধামরাইয়ের বাড়ীগাঁও এলাকায় বন্য শিয়ালের উপদ্রব বেড়ে গেছে আশংকাজনকহারে। দলবেঁধে লোকালয়ে এসে পথচারি ও গ্রামবাসী মানুষকে কামড়িয়ে আহত করছে। এপর্যন্ত নারী-পুরুষ ও শিশুসহ ১৫জন শিয়ালের কামড়ে আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১৩ মে) ভোর রাতে উপজেলার কুল্লা ইউনিয়নের বাড়ীগাঁও এলাকার নারী-পুরুষ ও শিশুসহ ১৫ জনকে কামড়িয়ে গুরুতর জখম করেছে বন্য শিয়াল। আহতদের উদ্ধার করে জরুরি ভিত্তিতে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতদের মধ্যে আলীমুদ্দিনের স্ত্রী দুলিমন বেগম, আব্দুল আওয়ালের স্ত্রী রংমালা বেগম, ছুরত আলীর স্ত্রী কাজুলী আক্তার, মোঃ সাহাজুদ্দিন, দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মোঃ মোঃ হৃদয় হাসান, আব্দুস সালাম মোল্লার ছেলে মোঃ মনির হোসেন মোল্লা, মোঃ সোহেল রানা, মোঃ রেদুয়ান হোসেন ও মোঃ সুমন আহাম্মেদের অবস্থা গুরুতর।
এলাকাবাসী জানান, মাঠে ময়দানে কাজ করাতো দূরের কথা আমরা ঘর থেকে বের হলেই শিয়াল আমাদের কামড়াচ্ছে। দলবেঁধে লাঠিসোঠা নিয়ে পাহারা দিয়েও শিয়ালের আক্রমণ প্রতিহত করা মোটেও সম্ভব হচ্ছেনা। এ সপ্তাহে ১৫ জনেরও বেশী মানুষকে কামড়িয়ে জখম করেছে শিয়াল। বিষয়টি থানা পুলিশ ও জনপ্রতিনিধিদের অবহিত করলেও তারা এলাকাবাসীর রক্ষায় বা শিয়ালের আক্রমণ প্রতিহত করতে এগিয়ে আসেননি। ফলে আমাদের কোমলমতি ছেলে মেয়েরা ভয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই যাওয়া ছেড়ে দিয়েছে।
মোঃ নজরুল ইসলাম নামে এক গ্রামবাসী বলেন, যে শিয়াল গুলো আক্রমণ করেছে সেই শিয়ালগুলো খুবই বড় বড়। মনিরের পুকুর ও পরিত্যক্ত খামার, বংশী নদীর তীরে কাঁশবন ও পরিত্যক্ত ভিটার ঝোঁপঝাঁড়ে রয়েছে শিয়ালের আস্তানা। এরা এতটাই সাহসী যে ২-৪ জন লাঠিসোঠা নিয়ে তাড়া করলেও বিন্দুমাত্র ভয় পায়না। আমরা এলাকাবাসী খুবই আতংকের মধ্যে আছি।
কুল্লা ইউপি চেয়ারম্যান হাজী লুৎফর রহমান বলেন, শিয়ালের আক্রমণের কথা জানার সাথে সাথে ফায়ার সার্ভিসের কর্তৃপক্ষ এবং ইউএনও স্যারকে বিষয়টি অবহিত করেছি।
ধামরাই উপজেলা বন কর্মকর্তা মোতালিব আল মোমিন বলেন, শিয়াল আক্রমণের খবর পেয়ে সরেজমিনে গিয়ে পুরো এলাকা পর্যবেক্ষণ করেছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে আক্রমণ করা শিয়ালটি পাগলা ছিল। স্থানীয়রা ওই শিয়ালটিকে আজ মেরে ফেলেছে। তারপরও ওই এলাকাতে এধরনের আরো কোন শিয়াল রয়েছে কিনা সেটিও পর্যবেক্ষণ করে দেখা হয়েছে। আপাতত শিয়ালের আক্রমনের তেমন কোন সম্ভাবনা নেই।
বিএনএ/ ইমরান খান, ওজি