বিএনএ বিশ্ব ডেস্ক: করোনায় আক্রান্ত হয়ে এই প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছে উত্তর কোরিয়া। এছাড়া জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও ছয়জন মারা গেছেন। পাশাপাশি আরও কয়েক হাজার মানুষ জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন।
শুক্রবার (১৩ মে) দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমের বরাতে বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে। জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তিদের অন্যান্যদের থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে।
একজনের শরীরে ওমিক্রনও শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়ে দেশটির সংবাদসংস্থা কেসিএনএ জানিয়েছে, পিয়ংইয়ং শহরেই ওমিক্রন আক্রান্ত ব্যক্তির খোঁজ পাওয়া গেছে। তবে তার সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানায়নি সরকারি কর্মকর্তারা।
এদিকে উত্তর কোরিয়া সরকারিভাবে প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হওয়ার কথা নিশ্চিত করার পর দেশজুড়ে লকডাউনের নির্দেশ দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ মে) দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে ওমিক্রন প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে; কিন্তু কতজন আক্রান্ত হয়েছে তা প্রকাশ করেনি। প্রতিবেদনটিতে কোভিড শনাক্ত হওয়াকে ‘বৃহত্তম জরুরি ঘটনা’ বর্ণনা করে এতে দেশটির ‘কোয়ারেন্টাইন ফ্রন্ট’ লঙ্ঘিত হয়েছে বলে মন্তব্য করা হয়েছে। নেতা কিম জং উন এ প্রাদুর্ভাব মোকাবিলার প্রস্তুতি নিয়ে জরুরি বৈঠক করছেন বলে জানিয়েছে তারা। তবে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার সরকারি ভাষ্যে প্রথমবারের মতো কোভিড রোগী শনাক্তের কথা বলা হলেও দেশটিতে অনেক দিন থেকেই করোনাভাইরাসের উপস্থিতি আছে বলে ধারণা পর্যবেক্ষকদের।
উত্তর কোরিয়া নিজেদের জনগণকে কোনো কোভিড-১৯ টিকা দেয়নি। চীনের তৈরি সিনোভ্যাক টিকা এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার ডোজ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হলেও দেশটি উভয়ই প্রত্যাখ্যান করেছে। করোনাভাইরাস মহামারি শুরু হওয়ার পরই নিজেদের সব সীমান্ত বন্ধ করে দেয় তারা। এই পদক্ষেপের মাধ্যমেই দেশে ভাইরাসটির প্রবেশ বন্ধ করতে চেয়েছে তারা। কিন্তু সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ায় দেশটি অর্থনৈতিক পরিস্থিতি গুরুতর আকার ধারণ করে এবং জরুরি পণ্য আমদানিও হ্রাস পায়, এতে দেশজুড়ে খাদ্য ঘাটতি দেখা দেয়। এসব পদক্ষেপ সত্ত্বেও সংক্রামক ভাইরাসটি সম্ভবত দেশটিতে প্রবেশ করেছে এমন কিছু লক্ষণও দেখা যায়। বিশ্বজুড়ে কোভিড মহামারি শুরু হওয়ার পর দেশটি থেকে কোভিড সংক্রমণের বেশ কয়েকটি খবরও পাওয়া যায়, কিন্তু সরকারিভাবে তা নিশ্চিত করা হয়নি।
উত্তর কোরিয়ার ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী চীনেই প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় আর দেশটি এখন ওমিক্রন ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণের জন্য সংগ্রাম করছে। উত্তর কোরিয়ার অপর প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়াও করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখেছে।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ