বিএনএ,চট্টগ্রাম: দোকান ও শপিং মলে ঈদের কেনাকাটা করতে গিয়ে সরকারি নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি মানছে না অনেকে। তাই চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন শপিংমল ও দোকানপাটে অভিযান পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় ৩২ মামলায় ১১ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বুধবার (১২ মে) চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ১০ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ নগরীর বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এসময় জরিমানার পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষের মাঝে ২০০ মাস্ক বিতরণ করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক।
তিনি জানান, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এহসান মুরাদ নগরীর পতেঙ্গা ও ইপিজেড এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার সময় সাধারণ মানুষ ও বিভিন্ন দোকান, শপিং মলে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে নির্দেশনা প্রদান করেন এছাড়াও সচেতনতার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষে মাস্ক বিতরণ করেন। এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আতিকুর রহমান নগরীর হালিশহর এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার সময় সচেতনতার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মাঝে মাস্ক বিতরণ করেন।
অন্যদিকে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট বিবি করিমুন্নেছা নগরীর পাহাড়তলী ও আকবর শাহ এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে জনসাধারণকে সচেতন করেন এবং ৫ টি মামলা দায়ের করে ৭০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সুরাইয়া ইয়াসমিন নগরীর কোতোয়ালি ও সদরঘাট এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার সময় ৩ টি মামলা দায়ের করে মোট ৩০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন এবং লকডাউন ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার ব্যাপারে জনসাধারণকে সচেতন করেন। এছাড়াও সাধারণ মানুষের মাঝে মাস্ক বিতরণ করেন।
এছাড়াও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হাসান নগরীর কোতোয়ালি ও সদরঘাট এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার সময় ৩ টি মামলা দায়ের করে ৯০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন এবং সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে নির্দেশনা প্রদান করেন। এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাজিব হোসেন চান্দগাঁও ও পাঁচলাইশ এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার সময় ৭ টি মামলা দায়ের করে মোট ২১০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন এছাড়াও মানুষ কে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে নির্দেশনা প্রদান করেন।
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন শহরের বন্দর ও ডবলমুরিং এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার সময় ৬ টি মামলা দায়ের করে ১৯০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন এছাড়াও সচেতনতার পাশাপাশি মাস্ক বিতরণ করেন। এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নূরজাহান আক্তার সাথী নগরীর চকবাজার ও বাকলিয়া এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার সময় ১ টি মামলা দায়ের করে ৩০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন।
এছাড়াও লকডাউন সফল করার লক্ষ্যে সন্ধ্যার পর থেকে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক এর নেতৃত্বে চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করার সময় জিইসি ও চকবাজার এলাকায় ৪ টি মামলা দায়ের করে ১৮০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করা হয় এবং এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট গালিব চৌধুরীর নেতৃত্বে মহানগরীতে অভিযান পরিচালনা করার সময় ৩ টি মামলা দায়ের করে ৩১০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করা হয়।
বিএনএনিউজ/মনির