বিএনএ ডেস্ক: বাংলাদেশের আকাঁশে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে বুধবার(১৪ এপ্রিল) থেকে রোজা শুরু হবে। রমজানের চাঁদ দেখা যাওয়ায় মঙ্গলবার এশার নামাজের পর তারাবির নামাজ আদায় করবেন মুসলমানরা। রোজা রাখতে ভোররাতে খেতে হবে সেহরি।
এ পবিত্র মাস মুসলমানদের কাছে রহমত, বরকত ও নাজাতের মাস হিসেবে সম্মানিত। তাই এই মাসে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সন্তুষ্টি লাভের আশায় নিজেদের নিয়োজিত রাখতে সচেষ্ট হন মুসলমানরা।
রমজান মাসে গুণাহ বা পাপ বিমোচিত হয়, পূণ্য বা নেয়ামত বৃদ্ধি পায়। সারাদিন সকল ধরনের পানাহার থেকে মুক্ত থেকে মুসলমানরা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করেন। মহান আল্লাহর অসংখ্য নেয়ামতের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি নেয়ামত হলো কোরআন মজিদ। এই রমজান মাসেই পবিত্র কোরআন মজিদ নাজিল হয়েছিল। তাতে রমজানের নিজস্ব ফজিলতের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে পবিত্র কোরআন মজিদের ফজিলত। তাই মাহে রমজানের মর্যাদা অনন্য ও অতুলনীয়।
এদিকে, মহামারি করোনা ভাইরাস নতুন আকার ধারণ করায় যথাযথ সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ এবং রমজানে তারাবির নামাজে সর্বোচ্চ ২০ জন মুসল্লি অংশগ্রহণ করতে পারবেন।চলমান পরিস্থিতিতে সোমবার (১২ এপ্রিল) এ নির্দেশনা জারি করে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস ভয়াবহ মহামারি আকার ধারণ করায় যথাযথ সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বর্তমান পরিস্থিতিতে ১৪ এপ্রিল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত মসজিদে নামাজ আদায়ে নিম্নোক্ত নির্দেশনা জারি করা হলো:
ক. মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের প্রতি ওয়াক্তে সর্বোচ্চ ২০ জন মুসল্লি অংশগ্রহণ করবেন।
খ. তারাবির নামাজে খতিব, ইমাম, হাফেজ, মুয়াজ্জিন ও খাদিমসহ সর্বোচ্চ ২০ জন মুসল্লি অংশগ্রহণ করবেন।
গ. জুমার নামাজে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করবেন।
ঘ. সম্মানিত মুসল্লিদের পবিত্র রমজানে তিলাওয়াত ও জিকিরের মাধ্যমে মহান আল্লাহর রহমত ও বিপদ মুক্তির জন্য দোয়া করার অনুরোধ করা হলো।
স্থানীয় প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদের পরিচালনা কমিটিকে উল্লিখিত নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বিএনএনিউজ/আরকেসি