বিএনএ ঢাকা: লকডাউন চলাকালিন বিশেষ প্রয়োজনে ব্যাংকিংসেবা দিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে চিঠি দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপ-সচিব মো. রেজাউল ইসলামের সই করা এই চিঠি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে পাঠানো হয়।
এতে বলা হয়, ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত ব্যাংকিংসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারির জন্য আদেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
১৪ থেকে ২১ এপ্রিল জরুরিসেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠান ছাড়া সরকারি-বেসরকারি সব অফিস, গণপরিবহন এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে সোমবার (১২ এপ্রিল) প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।সেখানে বলা হয়, সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। প্রতিষ্ঠানের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করবেন। তবে বিমান, সমুদ্র, নৌ ও স্থল বন্দর এবং তৎসংশ্লিষ্ট অফিসগুলো এ নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে।এরপর সোমবার এক সার্কুলারে ১৪ এপ্রিল থেকে তফশিলি ব্যাংকগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক ।
এদিকে, লকডাউনের আগে মঙ্গলবার(১৩ এপ্রিল) ব্যাংকের শেষ কর্মদিবস ছিল। তাই সকাল থেকে বিভিন্ন শাখার বাইরে গ্রাহকদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। কার্যক্রম শুরুর আগেই বাইরে লাইনে দাঁড়ান অনেকে। গ্রাহকদের বড় অংশ নগদ টাকা তুলতে আসেন। নির্দিষ্ট সংখ্যক গ্রাহককে ব্যাংকের ভেতরে ঢুকতে দেয়া হয়। তাই অনেক শাখার বাইরে লাইন চলে আসে সড়ক পর্যন্ত। সেখানে শারীরিক দূরত্ব খুব একটা মানা হয়নি। তবে ব্যাংকের ভেতরে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা হয়।
বাণিজ্যিক এলাকার গ্রাহকের চাপ সবচেয়ে বেশি ছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশ, শেষ দিন হবার সুবাদে ব্যাংকিং কার্যক্রম চলে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। আনুষঙ্গিক কাজ শেষ করতে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ব্যাংকের শাখা খোলা রাখা হয়।
বলা হয়েছে,লকডাউনে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবাও বন্ধ থাকবে। তবে এটিএম বুথ থেকে টাকা তোলা যাবে। চালু থাকবে অনলাইন লেনদেনও। বুথ থেকে সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা পর্যন্ত তুলতে পারবেন গ্রাহক।
বিএনএনিউজ/আরকেসি