বিএনএ, ইবি : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ক্যাম্পাসের অভ্যান্তরে বহিরাগতদের সাথে তর্কাতর্কি ও এক পর্যায়ে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় প্রধান ফটকের সামনে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। সোমবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যার পর থেকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।
ঘটনা সূত্রে জানা গেছে, আজ সন্ধ্যার আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের মফিজ লেকে কিছু শিক্ষার্থীদের আড্ডা দেওয়ার সময় স্থানীয় বখাটেরা তাদের সাথে থাকা মেয়ে বান্ধবীদের ভিডিও করে। এর প্রতিবাদ জানিয়ে তারা ভিডিও ডিলিট করতে বললে উভয় পক্ষের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। পরবর্তীতে এ ঘটনার জেরে তাদের মধ্য থেকে দুই শিক্ষার্থীকে শেখপাড়া বাজারে বহিরাগতরা এলোপাতাড়ি মারধর করেন। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী দুইজনই স্নাতক ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ব্যবস্থাপনা ও ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
পরবর্তীতে এ ঘটনা জানাজানি হলে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেন। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বহিরাগত মুক্ত ক্যাম্পাস, শিক্ষার্থী হামলার বিচার ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবি জানান। দুই ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নিতে ঘটনার সুষ্ঠু সুরাহার আশ্বাস দিলেও শিক্ষার্থীরা অনাস্থা জানিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে ।
ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি আননূর জায়েদ বিপ্লব বলেন, আমরা বিষয়টি নজরে রাখছি। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে আমরা প্রস্তুত রয়েছি। গেটে পুলিশ মোতায়ন রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ বলেন, ঘটনা শোনা মাত্রই ইবি থানার ওসি ও সহকারী প্রক্টরদের সেখানে পাঠিয়েছি। পরবর্তীতে আমি দুইজন সহকারী প্রক্টর নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পুলিশ প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্থা যারা আছে তাদের নিয়ে বসেছি। আমাদের কোনো শিক্ষার্থীকে যদি মারধর করা হয়ে থাকে তাহলে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাস উত্তপ্ত করা, জনগণের জানমালের ক্ষতি, রাস্তা আটকে মানুষের ভোগান্তি সৃষ্টি করা সমর্থন করিনা। আহতদের ইতিমধ্যে ক্যাম্পাসে চিকিৎসা দিয়ে কুষ্টিয়া পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার সাথে যারা জড়িত অচিরেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিএনএ/ তারিক সাইমুম, ওজি