বিএনএ ডেস্ক, ঢাকা: বাংলাদেশে মিসাইল কারখানা তৈরি করছে চীন এতে উদ্বিগ্ন ভারত, জাপানি সংবাদমাধ্যম ‘নিক্কেই এশিয়া’য় প্রকাশিত এমন প্রতিবেদনের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে চায়না রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, এ রকম সংবাদ খতিয়ে দেখার জন্য বেইজিংয়ে বার্তা পাঠাবেন তিনি।
রোববার (১৩ মার্চ) রাজধানীর একটি হোটেলে ঢাকাস্থ চায়না দূতাবাস আয়োজিত ‘স্প্রিং ডায়ালগ উইথ চায়না’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
জাপানি সংবাদ মাধ্যমের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১১ সালে বাংলাদেশকে যে সারফেস টু এয়ার মিসাইল দিয়েছে, তা রক্ষণাবেক্ষণে চীন এমন ব্যবস্থা তৈরি করছে, যাকে ‘হাব’ হিসেবে বিবেচনা করা যায়।
চায়না রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, চীন কখনো অন্য কোনো দেশের ভেতরে সামরিক সরঞ্জাম রক্ষণাবেক্ষণ স্থাপনা তৈরি করে না। তবে কোনো দেশ সামরিক সরঞ্জাম রক্ষণাবেক্ষণে সহায়তা চাইলে তা সহায়তা দিয়ে থাকে।
অনুষ্ঠানে রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট নিয়েও কথা বলেন লি জিমিং। বলেন, জাতিসংঘ সনদ অনুযায়ী রাশিয়া-ইউক্রেন আলোচনা চায় চীন। উভয় পক্ষ চাইলে আলোচনায় সহায়তা করতে পারে চীন। বিবাদমান দুই দেশের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সমাধানের তাগিদ দেন তিনি।
লি জিমিং আরও বলেন, তাইওয়ান ইস্যু চীনের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার; এক চীন নীতি বিশ্বের সব দেশের কাছেই স্বীকৃত। ইন্দো-প্যাসিফিক করিডোর আইপিএস, কোয়াডসহ এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে বিভিন্ন উদ্যোগ চীন বিরোধী।
বলেন, উইঘুরে মুসলিমদের নির্যাতন করে চীনা এমন অপপ্রচার চালায় পশ্চিমা বিশ্ব।
বিএনএ/ এ আর