বিএনএ ডেস্ক:কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে খাদ্য সংকট মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী দেশের প্রতি ইঞ্চি জমি চাষের আওতায় আনা হবে। এজন্য সম্প্রতি ৪৩৮ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে বাড়ির আঙিনা ও পতিত জমিতে পারিবারিক পুষ্টিবাগান স্থাপন করা হবে। ফলে খাদ্য উৎপাদন আরও বাড়বে।’
শনিবার (১৩ মার্চ) ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) কৃষিবিদ সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব সাজ্জাদুল হাসান, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম, বিএডিসির চেয়ারম্যান ড. অমিতাভ সরকার ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মো. নজরুল ইসলাম। বিএডিসি কৃষিবিদ সমিতির সভাপতি রিপন কুমার মন্ডলের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ চন্দ্র দে ও সাংগঠনিক সম্পাদক সঞ্জয় রায়। বীজ ও সার ব্যবস্থাপনায় বিএডিসির কৃষিবিদদের ভূমিকার ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মো. আজিম উদ্দিন। সাধারণ সভায় সারা দেশে কর্মরত বিএডিসির তিন শতাধিক কৃষিবিদ উপস্থিত ছিলেন।
নতুন জাতের ফসলের বীজ উৎপাদন ও বিতরণে আরও শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে বিএডিসির কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে বীজ, সার, সেচসহ কৃষি উপকরণের প্রাপ্তি ও বিতরণে বিএডিসির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। আমাদের গবেষক ও বিজ্ঞানীরা ইতোমধ্যে ফসলের অনেক উন্নত জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন। দ্রুত এসব জাতের বীজ উৎপাদন ও কৃষক পর্যায়ে বিতরণ করতে হবে। আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি, এখন নিরাপদ ও পুষ্টিসম্মত খাদ্যের নিশ্চয়তা দিতে কাজ করছে সরকার। সেটি অর্জন করতে হলে কৃষিবিদদের আরও শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে হবে।’
কর্মকর্তাদের বদলি ও পদায়নের জন্য তদবির না করার আহ্বান জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের অনেকেই প্রকল্পের পরিচালক (পিডি), উপ-পরিচালক বা পছন্দমতো পদে পদায়ন ও বদলির জন্য নানাভাবে তদবির করেন। এটি কোনোমতেই কাম্য নয়। যারা তদবির করেন, তাদের আমি একদম পছন্দ করি না।’