ঢাকা: চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে জুলাই মাসে একটি সনদ বাস্তবায়নের পর ডিসেম্বরে নির্বাচন হতে পারে।
বৃহস্পতিবার(১৩ ফেব্রুয়ারি) সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিট (ডব্লিউজিএস)-এর ইন্টারেক্টিভ প্লেনারি সেশনে অংশ নিয়ে তিনি এ তথ্য জানান। এ সময় তিনি জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের (ওএইচসিএইচআর) তদন্ত প্রতিবেদন প্রসঙ্গেও আলোচনা করেন। ড. ইউনূস বলেন, মানবাধিকার কমিশনের প্রতিবেদন বাংলাদেশের জন্য ‘স্বস্তিদায়ক’।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি, সমাজ ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছিল। বর্তমান সরকারের মূল কাজ হলো এসব ক্ষেত্র পুনর্গঠন করা। ব্যাংকিং ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে ধসে পড়েছিল এবং ১৬ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়ে গেছে। প্রথমে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, তারপর আইন-শৃঙ্খলা এবং প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুনর্গঠন করতে হবে। এ সময় তিনি উল্লেখ করেন যে বাংলাদেশের রিজার্ভ তলানিতে চলে গেছে।
ড. ইউনূস বলেন, দেশে আইন-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা, সামাজিক শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা এবং ভঙ্গুর অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার করা বর্তমান সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ। এছাড়া ফ্যাসিস্ট সরকারের বিচার করাও তাদের লক্ষ্য।
বেকি অ্যান্ডারসনের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ১৫টি বিভিন্ন খাতের সংস্কারের জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা বিভিন্ন সুপারিশ করছে। এখন আমাদের মূল কাজ হলো ঐকমত্য গঠন করা। এ জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে। যেসব সুপারিশে সবাই একমত হবে, সেগুলো নিয়ে একটি সনদ তৈরি করা হবে। এরপর সেগুলো বাস্তবায়ন করে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দেওয়া হবে। এটি চলতি বছরের ডিসেম্বরেই হতে পারে।
বিএনএ,এসজিএন