বিএনএ ডেস্ক : ৫ ফেব্রুয়ারি ধানমন্ডি ৩২ নম্বর যখন আগুনে দাউদাউ করে জ্বলছিল, তখন এইভাবে বুলডোজারের ওপর অন্যদের সঙ্গে উল্লাস প্রকাশ করেছিল বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যোদ্ধা, কনটেন্ট ক্রিয়েটর নুরুজ্জামান কাফি।
এর এক সপ্তাহ পার না হতেই, গত ১২ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত ২ টার দিকে, কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের রজপাড়া গ্রামে কাফির নিজ বাড়িতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে কেউ হতাহত হয়নি। তবে পুরো বাড়িটি পুড়ে গেছে।

নুরুজ্জামান কাফির বাবা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আগুন লাগার পর যে যার মতো করে দরজা ভেঙে আমরা বের হয়েছি। কিছু রক্ষা করতে পারি নাই; সব শেষ হয়ে গেছে। আমাদের পুড়িয়ে মারার জন্যই এমন ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
এই আগুনের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কনটেন্ট ক্রিয়েটর নুরুজ্জামান কাফি। তার দাবি, শেখ হাসিনা বলেছেন, ধানমন্ডি ৩২ যারা পুড়িয়েছে, তাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হবে। আর ঠিক সেই প্রতিশোধ হিসেবেই আমার বাড়ি প্রথমে পুড়িয়েছে।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২টায় পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার রজপাড়া গ্রামের নিজ পোড়া ঘরের সামনে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন কাফি। এ সময় বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
কাফি বলেন, স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমি কথা বলেছি, মানুষের পক্ষে কথা বলেছি। আমার বাবা এবং ভাই আমার জন্য দুইবার কেঁদেছেন। একবার জুলাই আন্দোলনের সময়, যখন আমি পালিয়ে গিয়েছিলাম। আর দ্বিতীয়বার আজ, যখন আমার ঘর পোড়ানো হলো। বাবার সন্তান হিসেবে আজ আমি লজ্জিত।
পোড়া ভিটায় বসে, সংবাদ সম্মেলনে, সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে কাফি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলছি, সাত দিনের মধ্যে আমার ঘর পুনঃনির্মাণ এবং দোষীদের গ্রেপ্তার করা না হলে বিপ্লবী সরকারের ডাক দিবেন।
নুরুজ্জামান কাফি আরও বলেন, ৬০ শতাংশ মানুষ ইতোমধ্যে সরকারের ওপর থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। আমরা আন্দোলনের সময় সরকারের কাছ থেকে কোনো সুবিধা চাইনি। উপদেষ্টাও হতে চাইনি। শুধু দেশের মানুষের নিরাপত্তা চেয়েছি, নিজের নিরাপত্তা চেয়েছি। অথচ আজ আমার নিজের ঘরই নেই!
এ সময় কাফি বলেন, এই আগুন হাসিনা লাগাননি, এখানকার মানুষ লাগিয়েছে। আওয়ামী লীগ লাগিয়েছে, ছাত্রলীগ লাগিয়েছে। দেশে এখনো আওয়ামী লীগের ৭০ শতাংশ লোকজন অ্যাক্টিভ, এই ফ্যাসিস্টদের বিষদাঁত উপড়ে ফেলতে হবে।
বিএনএ/ সৈয়দ সাকিব