বিএনএ, ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হরিশংকরপুর ইউনিয়নের পানামী গ্রামে পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী (১২)। ওই ছাত্রীকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রোববার ( ১৩ ফেব্রুয়ারি) তার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।
শনিবার সন্ধ্যার দিকে ছাত্রীর নিজ বাড়িতে টিভি দেখতে এসে মতিয়ার (৫৫) নামের এক লম্পট তার হাত-মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে বলে ভুক্তভোগীর মা অভিযোগ করেছেন। ধর্ষক মতিয়ার বিশ্বাস পানামী গ্রামের জিন্দার বিশ্বাসের ছেলে।
ওই ছাত্রীর মা জানিয়েছেন, তিনি ও তার স্বামী তামাক চাষের কাজে শৈলকুপা উপজেলার মীনগ্রামে ছিলেন। বাড়িতে তার মেয়ে একা ছিল। টিভি দেখতে এসে লম্পট মতিয়ার তার মেয়ের হাত-মুখ বেধে পাশবিক নির্যাতন চালায়। একই পাড়ার সমবয়সী আরেকটি মেয়ে ঘটনাটি দেখে চিৎকার দিলে ধর্ষক মতিয়ার পালিয়ে যায়।
পানাসী গ্রামের বাসিন্দা আবেদ আলী জানান, ঘটনার পর পাড়ার লোকজন মতিয়ারকে খোঁজাখুজি করলেও পাওয়া যায়নি। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শেখ মো. সোহেল রানা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিএনএনিউজ২৪.কম/আতিক/এনএএম