বিএনএ ডেস্ক, ঢাকা: ইসি গঠনে রাষ্ট্রপতির কাছে নাম প্রস্তাবের জন্য বিশিষ্টজনদের সঙ্গে তৃতীয় দফা বৈঠক করেছে সার্চ কমিটি। রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সুপ্রিম কোর্টের কনফারেন্স রুমে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে আমন্ত্রণ পাওয়া ২৩ বিশিষ্টজনের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ১৮ জন।
উপস্থিত বিশিষ্টজনের মধ্যে ছিলেন, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মুহম্মদ জাফর ইকবাল, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের গোলাম কুদ্দুছ, লে. কর্নেল (অব.) সাজ্জাদ আলী জহির, সাবেক অ্যাডিশনাল আইজিপি নুরুল আলম, গীতিকার ও সুরকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, প্রজন্ম৭১-এর আসিফ মুনির, ডা. নুজহাত চৌধুরী, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, লেখক ও সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির, অর্থনীতিবিদ ড. তোফায়েল আহমেদ।
সার্চ কমিটির সঙ্গে বৈঠক থেকে বেরিয়ে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, নিরপেক্ষ না খুঁজে সাহসী ও সৎ খুঁজতে হবে। সময় লাগলে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কথা বলতে বলেছি। আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে প্রধানমন্ত্রীকেও যিনি কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে পারে এমন ব্যক্তিদের নাম প্রস্তাব করা উচিত। অবশ্যই তাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী হতে হবে। শাহরিয়ার কবির বলেন, ১০ জনের নাম প্রস্তাব করেছি। তালিকায় নারী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ব্যক্তিদেরও নাম রয়েছে।
ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বলেন, বাংলাদেশে নিরপেক্ষ লোক পাওয়া কঠিন। নির্বাচন কমিশনে মোটামুটি গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি হলেই চলবে। আমলাতন্ত্র ও জুডিশিয়ারির যে ধারায় কমিশনে নিয়োগ দেওয়া হয় সেটা বাদ দেয়ার পরামর্শ দেন তিনি। বলেন, কমিশনে সিভিল সোসাইটি, নারী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব থাকুক। এমন ব্যক্তি খুঁজে বের করতে হবে, যিনি সৎ ও সাহস নিয়ে নির্বাচন পরিচালনা করতে পারবেন।
বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মেয়াদ শেষ হচ্ছে সোমবার। স্বাধীনতার পর এবারই প্রথম আইন অনুযায়ী ইসি গঠিত হতে যাচ্ছে।
বিএনএ/এ আর
